সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার একদফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পানির বোতল ও ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসেন।
এসময় কোটাবৈষম্য নিরসন করে সংসদে আইন পাসের লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন আহ্বান ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড হয়ে, তালাইমারি, সাহেব বাজার, সিএন্ডবি মোড় প্রদক্ষিণ করে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত যাবে। সেখানে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পৌঁছে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিবেন তারা। এর আগে রুয়েট, রাজশাহী কলেজ ও রামেকের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
পদযাত্রা চলাকালীন 'আমার ভাইয়ের নির্যাতনের, প্রশাসন জবাব চায়', 'মেধা না কোটা, মেধা মেধা', 'জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো', 'দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ', 'আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই', 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা', 'জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করিনা মরণে', 'সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে', 'দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান', 'কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম', '১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার', 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে', 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই', 'লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে', 'অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন'সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় রাবি শিক্ষার্থীদের অন্যতম একজন প্রতিনিধি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করব। কোনো পক্ষ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা একত্রে প্রতিহত করার চেষ্টা করব।