‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি কোনভাবেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি নন। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। এই প্রশ্নটাই ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা দুদক আইনের যে কথা বলছেন সেখানে (আইনে) কিন্তু স্পষ্ট করে লেখা আছে উনি প্রজাতন্ত্রের কোন লাভজনক পদে পরবর্তীতে অধিষ্ঠিত হইবার যোগ্য হইবেন না। এখানে কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে কোন বিধিনিষেধ নাই।’
‘আর সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার অযোগ্যতার যে ৩টি ক্রাইটেরিয়া আছে তা হলো: পঁয়ত্রিশ বৎসরের কম বয়স্ক হলে। সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য না হলে এবং কখনও এই সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন।’
‘এছাড়া সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদেও বলা নাই যে এটা লাভজনক পদ। আর সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদে যে পদগুলো লাভজনক পদ হবে না বলা হয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপতির পদের বিষয়টি রয়েছে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের এসংক্রান্ত রায়ে স্পষ্ট করে বলা আছে প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ কোনটা। সে রায়ের আলোকে বলতে পারি একদম সম্পূর্ণ ভাবে উনি বৈধ এবং এটাতে কোন প্রশ্ন করা উচিত না। এই প্রশ্নটাই অবান্তর। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কোনভাবেই সরকারের কর্মে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি নন।’