একজন ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে না পারবেন না, সেই বিধান তৈরিসহ নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা, পররাষ্ট্র এবং শিক্ষাসহ ১০টি খাতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ উপস্থাপন করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এ সময় গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন আমির। নিহত এবং আহতদের জন্য দোয়া কামনা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ।
সংস্কারের প্রস্তাবনা তুলে ধরে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশনের অনেক সংস্কার প্রয়োজন। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সংশোধন করতে হবে। একই সঙ্গে সংসদে বিরোধীদলের ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা সংস্কারের মধ্যে পুলিশের ব্রিটিশ আইন বাতিল করতে হবে। পুলিশে নিয়োগে দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ট্রেনিংয়ে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র দেওয়া যাবে না।
ডা. তাহের বলেন, র্যাবে যারা গত ১৫ বছর কাজ করেছেন তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে না ও র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে সংস্কার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, আ না ম শামসুল ইসলাম, এটিএম মাছুম, সাইফুল আলম খান মিলন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
গত ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপে অংশ নেন জামায়াতের আমিরসহ প্রতিনিধি দল। সংলাপ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জামায়াত আমীর জানান, ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরবে।