আমাদের বার্তা, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মাধ্যমিক ও মাদরাসা ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতি হয়েছে ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ৩ বিদ্যালয় বিধ্বস্তসহ মোট ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে. টিনের ছাউনি ও বেড়া ঝড়ে উড়ে গিয়ে কিংবা গাছ পড়ে প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও মালামাল নষ্ট হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরু করতে সময় লাগবে। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলেন, বিদ্যালয় খোলা রয়েছে, বিকল্প ব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবে ক্লাস চলছে।
এর মধ্যে মাধ্যমিকে ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো-সুবিদখালী খাতুনে জান্নাত বালিকা দাখিল মাদরাসা, কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরখালি সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাকড়াবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভাজনা কদমতলা নুরিয়া আলিম মাদরাসা, আমড়াগাছিয়া দাখিল মাদরাসা, কপালভেড়া বালিকা আলিম মাদরাসা, ময়দা সালেহিয়া দাখিল মাদরাসা ও কানকিরামপুর দাখিল মাদরাসা।
প্রাথমিকে বেশি ক্ষতি হয়েছে চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চৈতা, মধ্যে ময়দা, সুন্দ্রা হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে এখনো পানি থৈ থৈ করছে।
পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাকা ভবন নির্মাণ হয়নি। ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। একাধিকবার বিদ্যালয়ের কাগজপত্র দিয়েছি কোনো কাজ হয়নি। ঘূর্ণিঝড় এলেই টিনশেট ঘরের বিদ্যালয়টির কোনো না কোনো ক্ষতি হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৫টি মাধ্যমিক ও মাদরাসায় ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হক বলেন, উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় টিনশেড ও অনেক পুরনো। ১৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪১টিতে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।