সদ্য বিদায়ী আগস্টে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকার বেশি। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রবাসীরা বৈধ পথে টানা পাঠানো একপ্রকার বন্ধ রাখলে রেমিট্যান্স ভাটা পড়ে। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে আবারও বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী আগস্টে সবমিলিয়ে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ২২ মিলিয়ন (২২২ কোটি) ডলার। এর আগে গত বছরের একই মাসে দেশে ১৬০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এই হিসেবে আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে ৬২ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
নাম প্রকাশ না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত টানা তিন মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এলেও জুলাইয়ে তা এর নিচে নেমে আসে। তবে বর্তমানে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। তাদের সচেতন করা হচ্ছে। ফলে আগামীতে আরও বেশি পরিমাণে প্রবাসী আয় আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এরপর যথাক্রমে ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ এবং মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। আর বিদায়ী জুনে দেশে বৈধ পথে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এছাড়া চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।