সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পবিত্র রমজান মাসে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রণয়নকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকার সবুজবাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে, বাংলাদেশের জন্ম ও প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হতো কি-না জানি না। তিনি বঙ্গবন্ধু রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মার্চ মাসটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। এ মাসে জাতির জনকের জন্ম, স্বাধীনতা অর্জন। বাঙালির জাতির জন্য দিক নির্দেশনামূলক ৭ই মার্চের ভাষণ। এবার মার্চে যুক্ত হয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসকে নিয়ে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে চলছে চরম ক্ষোভ। কেবলমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ছাড়া রমজান মাসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রাথমিকের বার্ষিক ছুটি ৫৪ দিন। উচ্চবিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭৬ দিন। এ বৈষম্যমূলক ও অমানবিক কর্মকাণ্ড, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শিশু অধিকারের পরিপন্থি। উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখা, কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় পবিত্র রমজান মাসে বন্ধ। প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি থেকে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী রোজা রাখেন। প্রচন্ড গরমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রোজার মধ্যে ক্লাস করা কষ্টকর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ইন্দু ভুষণ দেব। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এম এ ছিদ্দিক মিয়া। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গোলাম মোস্তফা,সামসুদ্দিন বাবুল, মোশারফ হোসেন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম বাচ্চু, সুবল চন্দ্র পাল, মো. হুমায়ুন কবির, আবুল হাসেম, আব্দুল হাইসহ অনেকে।