রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চলমান কার্যক্রম - দৈনিকশিক্ষা

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চলমান কার্যক্রম

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন |

রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আঞ্চলিক ইস্যু এবং সময়মত রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান নিশ্চিত করা না গেলে এই সমস্যা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে বলে চীন আশঙ্কা করছে। চীন এই সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়,বর্তমানে অনেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায় না এবং বিভিন্ন কারণে তারা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে। চীনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, চীনের মূল লক্ষ্য,রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা এবং এজন্য চীন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। চীন দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আগ্রহী এবং দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই চীনের লক্ষ্য।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৬ নভেম্বর, প্রথমবারের মতো 'মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি' শীর্ষক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতিসংঘ সদর দফতরে ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে এই রেজুলেশনটি চালু করেছে।এই বছরের রেজুলেশনটি ১০৯টি দেশ স্পন্সর করেছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।রেজুলেশনে রোহিঙ্গাসহ ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা হয়। এতে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। 

এই রেজুলেশনে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানিয়ে মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করে তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার, ইউএনএইচসিআর ও ইউএনডিপির মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটির পুনঃনবায়নপূর্বক সেটার কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করেছে-যা কখনোই কাম্য ছিল না। ওআইসি ও ইইউ এই গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যুতে সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি নেতৃস্থানীয় ভুমিকা রেখে আসছে।বর্তমানে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে বিধায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দ্রুত কার্যকর করা যাচ্ছে না। এই বাস্তবতায় রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে প্রস্তাবটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় গাম্বিয়াকে সমর্থনের জন্য স্পেনকে অনুরোধ করেছে। স্পেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে এই সঙ্কট মোকাবিলায় সম্মিলিত আন্তর্জাতিক প্রয়াসের গুরুত্বের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত  তথ্য বিস্তারিতভাবে যাচাই করে এই মামলায় গাম্বিয়াকে সমর্থন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায়। 

জাপানের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদেরকে সহায়তাদানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা সমস্যাসহ যে কোনো দুর্যোগে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন। মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান বাংলাদেশকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে এবং প্রতিবছর ক্যাম্পে নতুন শিশুর জন্মের ফলে তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্রপাচারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ভেতরে ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা এবং  তাদের আশ্রয়দানকারী গোষ্ঠীর জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে চলমান কর্মসূচিগুলোর জন্য প্রায় ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মিয়ানমারে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বেঁচে যাওয়া ৯ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার জীবনরক্ষামূলক উদ্যোগ এবং বাংলাদেশে তাদেরকে আশ্রয়দানকারী ৫ লাখ ৪০ হাজার সদস্যের জন্য সহায়তা দেয়া হবে। এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমান প্রায় ১.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই সহায়তার মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৯৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং ইউএসএআইডির মাধ্যমে ৭৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরের জনগণের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

ইইউ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইইউ রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে-যা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ ইইউ’র কাছে এই মানবিক সাহায্য কার্যক্রম চালানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সব ধরনের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতা ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডস মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও কক্সবাজার জেলায় তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে আইওএম রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দানকারী গোষ্ঠীগুলোর জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দেবে,যা উভয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও দুর্যোগের ঝুঁকি কমিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখবে।

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে চলমান মামলা পরিচালনায় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আইসিজেতে মামলা পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবী তহবিলে এরই মধ্যে পাঁচ লাখ ডলার দিয়েছে এবং আরও দুই লাখ ডলার দিচ্ছে। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১২ লাখ রোহিঙ্গার সহায়তার পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের একাংশকে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। গাম্বিয়ার দায়ের করা এ মামলার প্রতি সবার পূর্ণ সংহতি, সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার জন্য আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার এবং মানবতার উন্নতির জন্য দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানায়।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফিনল্যান্ড বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে। ফিনল্যান্ড রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান এবং মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে। যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে সৌদি আরবের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেছে বাংলাদেশ।বর্তমানে এই সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সৌদি আরবকে অবহিত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই প্রস্তাবগুলো হলোঃ রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সমর্থন ও আদালতের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করা। জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। আসিয়ানের পাঁচ-দফা ঐক্যমত মেনে চলার অঙ্গীকার পূরণে মিয়ানমারকে দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানানো। মিয়ানমার যাতে বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকারে রাজি হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্তিশালী মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই চলমান সঙ্কট নিরসন হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সংহতির আহ্বান জানায়। 

গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় বিজিপি ও বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ের অষ্টম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন ও সম্মেলনের বাইরে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিজিবি। দুই বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার বিষয়েও একমত হয় এবং বাংলাদেশ এই প্রেক্ষিতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করে। সীমান্তের দুই পাশের অপরাধী চক্র ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান চিহ্নিত হলে তাদের অপতৎপরতা রোধে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানসহ একে অপরকে কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলা, প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড বিনিময় এবং বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে শুভেচ্ছা সফরসহ আস্থা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণে সম্মত হয়েছে  যা আশাব্যঞ্জক।

চলমান এই সমস্যা মোকাবিলায় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং নেদারল্যান্ডসের অর্থায়ন এ ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তি ও বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক উভয়ের মধ্যেকার মত-পার্থক্য দূর করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও আস্থার জায়গা তৈরি করবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করে এর ফলপ্রসূ সমাধানের জন্য তাদের সহযোগিতার চলমান রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।বাংলাদেশ এই সঙ্কট সমাধানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও আন্তরিক ও সক্রিয় হলে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান আলোর মুখ দেখবে।  

লেখক : ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা গবেষক

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032758712768555