নওগাঁর মহাদেবপুরে লিচু খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে এক শিশু ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে স্থানীয় মাতব্বর হাফিজুর, খোকা ও ইউসুফের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি রফা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর রাঢ়ী পাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে চককন্দর্পপুর গ্রামের এজাজুলের ছেলে এক সন্তানের জনক রাজু প্রতিবেশীর শিশুকন্যাকে লিচু খাওনোর লোভ দেখিয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেকটি শিশুকে কয়েকটি লিচু দিয়ে পাঠিয়ে দেয় রাজু। পরবর্তীতে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত রাজু পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজনের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে বেশ কয়েকজন গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদান নবী রিপন। ওইদিন রাতেই স্থানীয় মাতব্বর হাফিজুর, খোকা ও ইউসুফের নেতৃত্বে বিষয়টি নিয়ে আপোষের চেষ্টা চালানো হয়। ওইদিন বিষয়টির মীমাংসা না হওয়ায় বুধবার রাতে আবারো শালিস বসিয়ে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি রফা করতে বাধ্য করা হয় শিশুটির পরিবারকে।
গ্রাম্য মাতব্বর হাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মিলিয়ে দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নামমাত্র জরিমানা করে বিষয়টি আপোষ করতে তাকে বাধ্য করা হয়েছে। জরিমানার টাকাও মাতব্বরদের পকেটে রয়েছে।
ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁন্দাশ ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি সেখানে গ্রামপুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে বিষয়টির আপোষ হয়েছে কি-না তা তিনি জানেন না।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাফফর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ধরণের কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। তবে, শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।