বিখ্যাত অ্যাংলো-আইরিশ প্রাবন্ধিক ও ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতা লেখক জোনাথন সুইফটের আজ জন্মদিন। তিনি ১৬৬৭ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন। সুইফট ছিলেন জোনাথন সুইফট ও আবিগেইল এরিক দম্পতির একমাত্র সন্তান। ইংরেজ গৃহযুদ্ধের ফলে বাবার সম্পত্তি বিক্রি হয়ে যাওয়ায় ভাগ্যান্বেষণে তারা আয়ারল্যান্ডে চলে আসেন। ডাবলিনে থাকা অবস্থাতেই বাবার মৃত্যুর পর তার জন্ম হয়। ফলে তার মা পুনরায় ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। গডউইন নামীয় চাচা অত্যন্ত যত্নসহকারে তাকে লালন-পালন করেন।
১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দে আয়ারল্যান্ডে গৌরবময় বিপ্লব ছড়িয়ে পড়লে তিনি স্নাতকোত্তর শ্রেণির পড়াশোনা শেষ না করেই ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তার মা তাকে ফার্নহ্যামের ম্যুর পার্কে বসবাসকারী ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ স্যার উইলিয়াম টেম্পলের সচিব ও ব্যক্তিগত সহকারীর চাকরি লাভে সহায়তা করেন। নিয়োগকর্তার বিশ্বাসভাজন সুইফট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রায়শই বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন।
১৭০২ খ্রিষ্টাব্দে জোনাথন সুইফট ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ থেকে ডক্টর অব ডিভিনিটি ডিগ্রি লাভ করেন। ঐ বছরের বসন্তে ইংল্যান্ড সফরে যান। সহচর হিসেবে ছিলেন বিশ বছর বয়সী ইস্থার জনসন, রেবেকা ডিংলে। তারা অক্টোবরে আয়ারল্যান্ডে ফিরে আসেন। স্টেলা যিনি ইস্থার জনসন, জোনাথ সুইফটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ও গুজব রয়েছে। সুইফটের নিকট বন্ধু থমাস শেরিদানের মতে তারা অত্যন্ত গোপনে ১৭১৬ খ্রিষ্টাব্দে বিয়ে করেন। তিনি ডাবলিনের সেন্ট প্যাট্রিক ক্যাথেড্রালের জীন নিযুক্ত হয়েছিলেন।
১৭২৬ খ্রিষ্টাব্দে গালিভারস ট্রাভেলস নামের একটি ইংরেজি উপন্যাস রচনা করে তিনি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এটিকে ইংরেজি সাহিত্যের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ মনে করা হয়। এছাড়াও, এ টেল অব এ টাব ও এ মডেস্ট প্রোপোজাল নামের ছোট গল্পগুলোও তার অবিস্মরণীয় কীর্তিরূপে স্বীকৃত। ইংরেজি সাহিত্যে সুইফটকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ১৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে সুইফট মৃত্যুবরণ করেন।