আজ শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে স্বৈরাচারী আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন অকুতোভয় ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। সেই থেকে দিনটি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে শহীদ আসাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তারা। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ-সংলগ্ন শহীদ আসাদ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বেলা ১১টায় রাজধানীর তোপখানা রোডের শহীদ আসাদ মিলনায়তনে ‘আসাদ ও গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া শহীদ আসাদ পরিষদ আলোচনা সভা ও গণসংগীতের আয়োজন করবে। নরসিংদীর শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজসহ বিভিন্ন সংগঠন সকালে শিবপুরে শহীদ আসাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
শহীদ আসাদের জন্ম ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে, নরসিংদী জেলায়। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) নেতা। ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার মিছিলে সে সময় পুলিশ গুলি চালায়। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং আহত হন অনেকে।
আসাদের আত্মত্যাগ তৎকালীন আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। বাঙালির স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে, যা পরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।