আজ ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাউফুন বসুনিয়া সেদিন ঢাবিতে স্বৈরাচার সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
মৃত্যু দিবস উপলক্ষে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তার স্মৃতিতে গভীর শ্রদ্ধা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার স্মৃতিতে গভীর শ্রদ্ধা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের স্বৈরাচারি শাসক এরশাদের উপজেলা নির্বাচন বাতিল করা ও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সার্বজনিন বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিছিলে স্বৈরাচার এরশাদের লেলিয়ে দেয়া কিলিং এজেন্টদের গুলিতে তৎকালীন জাতীয় ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক রাউফুন বসুনিয়া ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
নেতারা বিবৃতিতে রাউফুন বসুনিয়ার স্বপ্নের স্বদেশ অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও সর্বস্তরে বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লড়াইকে অগ্রসর করে নেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সাবেক ছাত্র নেতা নাজমুল হক প্রধান, মোস্তফা ফারুক, নুর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আখতার
সোবহান মাশরুর, আমিনুল ইসলাম, মনসুরুল হাই সোহন, সুজাউদ্দিন জাফর, বেলাল চৌধুরী, ডা. সরদার ফারুক, মুখলেছউদ্দিন শাহীন, সিরাজুম মূনীর, রেজাউল করিম শিল্পী, রাজু আহমেদ, সালেহ আহমেদ, হারুন মাহমুদ, সরদার ফারুক, জায়েদ ইকবাল খান, কামাল হোসেন বাদল, বদরুল আলম, আকরামুল হকসহ অনেকে।