পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আহত এবং পুলিশ ও ছাত্রলীগের অভিযানে আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সোমবার সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন শাবি শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাফিজুর ইসলাম।
মৃত শিক্ষার্থীর নাম রুদ্র সেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের পাহাড়তলীতে।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর ক্রাইম) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, জালালাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু খালেদ মো. মামুন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি রনজিত সরকারসহ সিলেটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী প্রমুখ।
এদিকে এই মামলায় শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি মামুন শাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, গত ১৮ জুলাই রুদ্র শহীদ হয়। পুলিশ এবং ছাত্রলীগ আক্রমণের ফলে এটা ঘটেছে। এর আগে সে আহত ছিল। আমরা এখন আদালতের দ্বারস্ত হয়েছি। আমরা চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত হয়ে বিচার হোক। তিনি আরও বলেন, মামলার বিষয়ে রুদ্রের পরিবারের সঙ্গে আমাদের সহযোদ্ধারা কথা বলেছে।