শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী আজ বৃহস্পতিবার। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজামণ্ডপসহ দেশের সব পূজামণ্ডপে আজ সকাল থেকে সপ্তমীপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে।
চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে পূজা, দেবীদর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান এবং প্রসাদ গ্রহণের মতো আনুষ্ঠানিকতা চলবে দিনভর। সন্ধ্যায় দেবীকে আরতিপূজা দেওয়া হবে।
বুধবার বোধনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার মহাষষ্ঠী সম্পন্ন হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে সকাল থেকেই ছিল পুণ্যার্থীদের ভিড়। দুপুরের পর বৃষ্টির কারণে উৎসবের আমেজে একটু ভাটা পড়ে। তবে সন্ধ্যায় আরতিপূজার আলোকসজ্জা আর ভক্তদের পদচারণে আবারও প্রাণ ফিরে পায় মণ্ডপ।
পুরাণ অনুসরণ করে মহাসপ্তমীতে দেবী দুর্গার সবচেয়ে ভয়ানক রূপ, কালরাত্রি রূপের পূজা করা হয়। এ রূপ নিয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠা করেন দেবী কালরাত্রি। মহাসপ্তমীতে বিশেষ রীতি মেনে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গাকে।
পরে ধর্মীয় রীতিতে নতুন বস্ত্র ও নানা উপচারে তাঁর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দেবীর তৃতীয় চক্ষুদান করা হয়। সপ্তমীর শুরুতে ৯টি গাছের ফুল, ফল ও পাতা দিয়ে সব অশুদ্ধকে শুদ্ধ করে দেবীর পূজা করা হয়। ৯ সংখ্যার কারণে একে বলে নবপত্রিকা। তবে ‘পত্রিকা’ অর্থ পাতা হলেও এখানে মূলত ব্যবহৃত হয় উদ্ভিদ। এরপর কল্পনার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মনের আসনে বসানোর পর অনুষ্ঠিত হয় সপ্তমী বিহিত পূজা।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে, দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফল হয় ছত্রভঙ্গ।