পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
লিখিত অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের স্নাতকোত্তর সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়েন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিবাহিত।
এরপরও তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। পরে ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দেন। তবে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ছাত্রীটি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের চেয়ারম্যান জানান, ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষককে ক্লাস–পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’