দৈনিক শিক্ষাডটকম, নোয়াখালী : নোয়াখালীর চাটখিলে এক মাদরাসা ছাত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামে দাওয়াতুল ঈমান মডেল বিজ্ঞান কারিগরি দাখিল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে লাঞ্ছিত শিক্ষক আব্দুর রহমান চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত সেই ছাত্র চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামের মজুআলী ব্যাপারী বাড়ির বাবলুর ছেলে মো. সাব্বির হোসেন। সে ঐ মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১টার সময় মাদরাসার ক্লাস নেয়ার সময় অভিযুক্ত সাব্বির সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে মাদরাসার আরেক ছাত্রের মাধ্যমে ডেকে আনেন। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তার মায়ের উপস্থিতিতেই শিক্ষককে উপর্যুপরি লাথি মেরে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। সেসময় ওই শিক্ষককে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক আহতাবস্থায় দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন।
লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত শিক্ষকতা করে আসছি। সাব্বিরকে তার উশৃঙ্খল আচরণের জন্য শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন সময় অন্যান্য শিক্ষকদের মতো আমিও সতর্ক করে আসছি। সেই ক্ষোভ থেকে সে এভাবে আমার ওপর হামলা করে থাকতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তার নেতৃত্বে মাদরাসা এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালিত হয়। কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে সাব্বির মাদরাসা এলাকায় প্রায় সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে উশৃঙ্খল আচরণের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করারও অভিযোগ রয়েছে। অসদাচরণ'সহ বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকবার সে এই মাদরাসা থেকে বহিষ্কৃত হলেও তার বাবা-মা ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষিতে তার বহিষ্কার আদেশ বাতিল করে তাকে পুনরায় মাদরাসায় পড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত সাব্বির'সহ কিশোর অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত সাব্বিরের মা সালমা আক্তারের মোবাইলে বারবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।