শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল গত বছর ডিসেম্বর মাসে। সেশনজট দূর করতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ক্লাসও শুরু করেছিল বিভাগগুলো। তবে সর্বশেষ পরীক্ষার চার মাসের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও এখনো ফল প্রকাশিত হয়নি অধিকাংশ বিভাগের। মূলত বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক না থাকা, রেষারেষী, অন্তর্কোন্দলসহ ফল জমাদানে অনীহা ও উদাসীনতার কারণকেই দায়ী করছেন একাধিক বিভাগীয় প্রধান। পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সেশনজটে পড়ার পাশাপাশি চাকরির আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে হতাশায় ভুগছেন ফল প্রত্যাশীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দপ্তরের তথ্য মতে, ৩৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সংশোধিত আইন অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৮ সপ্তাহের (দুই মাস) ভেতর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। তবে বিশেষ কিছু বিষয়ে ফল প্রকাশের সময়সীমা সামান্য কম-বেশি হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আইন লঙ্ঘন করে নানা অজুুহাতে ফল প্রকাশে বিলম্ব করছে অধিকাংশ বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের ২৭টি বিভাগের মধ্যে এখনো ১৯টি বিভাগের অফিসিয়ালি ফল প্রকাশ হয়নি।
ফল প্রকাশ না হওয়ায় বিশেষ করে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক শেষে চাকরির আবেদন কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহী। ফল প্রকাশ না হওয়ায় তারা এসব কিছু করতে পারছেন না। ফলে হতাশ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আবার স্নাতকোত্তরের জন্য অন্যত্র ভর্তি হতে ইচ্ছুক হলেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় ভর্তি হতে পারছেন না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রত্যাশী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শেষ হয়েছে ৪ মাস পেরিয়েছে। এর মধ্যে অনেক চাকরির আবেদনের সময় চলে গেছে। কিন্তু ফল প্রকাশ না হওয়ায় আবেদন করতে পারছি না। ফল দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসন বেখেয়ালি হয়ে আছে। এ বিষয়ে জানতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক সময় দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা গেলে তারা খাতা পাঠাতে দেরি করেন। এ ছাড়া পরীক্ষা কমিটির প্রধান গুরুত্ব দিলে ফল তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।