এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সফটওয়্যার তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম দৈনিক আমাদের বার্তার এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পারস্পরিক বদলি নীতিমালা প্রকাশের পর এর কার্যক্রম শুরু করেছে মাউশি অধিদপ্তর এবং শিগগিরই বদলি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
সর্বজনীন বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনও নির্দেশনা আসেনি। বদলির বিষয়ে মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জিয়াউল হায়দার হেনরী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলির সফটওয়্যার তৈরির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাউশি অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয় । আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি ।
এর আগে, ১ আগস্ট বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের (সরকার থেকে বেতনের মূল অংশ পাওয়া শিক্ষক) বদলি নীতিমালা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারস্পারিক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এ জন্য কিছু শর্ত আছে । শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে -শুধু সম পদে কর্মরত দুজন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পারিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে। চাকরির আবেদনে উল্লিখিত নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলায় বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে। অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না এবং চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলির সুযোগ থাকবে।
এছাড়া বদলির আবেদন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে। প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে পারস্পারিক বদলির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। অনলাইনে পাওয়া আবেদন প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই–বাছাই করে নিষ্পত্তি করতে হবে। বদলি করা শিক্ষকদের ইনডেক্স আগের প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হবে। এবং বদলি করা শিক্ষকদের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জেষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
এছাড়াও বলা হয়েছে , বদলির আবেদন অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না। বদলি করা শিক্ষকরা কোনও ধরনের টিএ/ডিএ ভাতা পাবেন না। আদেশ জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি করা শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন। অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।
এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে যোগদানের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানাতে হবে।