শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষাখাতের উন্নতি ও প্রবৃদ্ধির জন্য তারা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাও পেশ করেন। ওই প্রস্তাবনায় দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে সব পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ প্রস্তাবনা রাখা হয়।
শিক্ষক সমিতির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও আনুপাতিক হারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নে শিক্ষায় বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে একটি বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল জাতি বিনির্মাণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী জাতীয় বাজেটের ২০% এবং জিডিপির ৫ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা দরকার। এই ব্যাপারে ইশতিহারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা থাকলে দেশবাসীসহ দেশের সর্ব পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি আশাবাদী হবেন। উচ্চশিক্ষার মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তর করা। দেশের সব পর্যায়ের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করে যোগ্য দক্ষ ও অধিকতর মেধাবীদের শিক্ষাকতা পেশায় আকৃষ্ট করার প্রতিশ্রুতি থাকা।
সমিতি আরো বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত গবেষণা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোস্ট-ডাক পজিশন, আরএ, টিএ পজিশন চালু করা। এজন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে মেধাবিদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত বিশ্বের মত চাহিদা অনুযায়ী ঋণ সুবিধা দেয়ার বিষয়টি ইশতেহারে থাকা জরুরি, যাতে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই সুবিধার আওতায় একটি মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে।
চিঠিতে নেতারা প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করে একটি বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল জাতি বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জয়লাভ আশা করেছেন। এছাড়াও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরের হাজারো অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান শিক্ষক সমিতির নেতা।