বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন এবং বলপ্রয়োগ ও হুমকি দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলন। গতকাল রোববার সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম ও সদস্যসচিব রুস্তম আলী খোকন এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, অবিলম্বে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের পুনর্বহাল করতে হবে।
যারা এসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তারা মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশের শিক্ষাকাঠামোকে ভেঙে ফেলতে চায়। তাই জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানো শিক্ষকদের কোনো পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে যে ঘোষণা শিক্ষা উপদেষ্টা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষকতা সমাজে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে সমাদৃত হলেও গত কয়েক দশকে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষককে দলীয়করণ করে এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও ব্যবসায়ীকরণের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার চরম ক্ষতি করেছে। এখনো একটি মহল অস্থিতিশীল অরাজকতা সৃষ্টি করে শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেশকে অশুভ দিকে ধাবিত করার পাঁয়তারা করছে।
অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।