রাজধানীর মেহেরুন্নেছা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক পদ থেকে চাকরি ছাড়ার পর ‘ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেড’ নামে জাপানি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন সাইদুল ইসলাম। কিন্তু তিনি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি জাপানে পাঠানোর নামে প্রতারণা শুরু করেন। এ পর্যন্ত ৫০ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর মডলে থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার সাইদুল ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসডিব্লিউ ও টিআইটিপি ক্যাটাগরিতে ওয়ার্কিং ভিসায় জাপানে লোক পাঠানো হয় বলে বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু তার প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র জাপানি ভাষা শিক্ষা দেয়ার জন্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
তিনি জানান, জাপানে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিকেল ফিসহ অন্যান্য খরচ দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এভাবে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে ভূক্তভোগীদের দাবি। তাদের দুই মাসের মধ্যেই জাপান পাঠানোর কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে টালবাহানা শুরু করেন সাইদুল। বুধবার ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি জানান, সাইদুল এক সময় শিক্ষকতা করতেন। তিনি ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে মেহেরুন্নেছা মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এরপর যোগ দেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজে। সেখানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্যবসায় নামেন। কয়েকটি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই পথ বেছে নেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ৩টি মামলা রয়েছে।