সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাতীয় শিক্ষাপদক ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে তুচ্ছ কারণে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাধাইন নগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গির গাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী।
জানা গেছে, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষাপদক ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা মাধাইনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গিরগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্ট শেষে নৃত্য ইভেন্টে সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় মাদারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার স্বামী ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম কোনো কিছু না জেনেই কিল, ঘুষি ও মারধর করে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা ও অভিভাবক এসে আহত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
সোনাপাতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদ আলী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এ কারণে শিক্ষা অফিসারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষক দম্পতি ফাতেমা খাতুন ও আবু হাসেমের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করা চরম অন্যায়।
এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিয়েছি।