১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল শিগগিরই প্রকাশ হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। চলতি সপ্তাহের শেষ বা আসছে সপ্তাহের শুরুতে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
গত জানুয়ারি মাসের শেষে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তা হয়নি। আগে এনটিআরসিএকে কারিগরি সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান টেলিটক ফল প্রক্রিয়ার কাজ করলেও এবার তা করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
জানতে চাইলে গতকাল রোববার দুপুরে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ফল প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। আশা করছি ফেব্রুয়ারির শেষে ফল প্রকাশ করতে পারবো। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ চালাচ্ছি।
এদিকে ফল প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ফল প্রক্রিয়ার দায়িত্ব পেয়েছে বিপিএসসি। আমদের পিএসসিতে গিয়ে কিছু কাজ করতে হয়েছে। ফল প্রক্রিয়ার কাজ অনেকাংশে শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আসছে সপ্তাহে ফল প্রকাশ হতে পারে।
জানা গেছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়ার এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের বিধান রয়েছে। সে হিসেবে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি।
এদিকে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু হলেও লিখিত পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারণ করেনি এনটিআরসিএ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির সচিব মো. ওবায়দুর রহমান গতকাল রোববার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, লিখিত পরীক্ষা নেয়ার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।
আমরা ফল প্রকাশের পর ভেন্যুগুলোর তথ্য সংগ্রহ করবো। এছাড়া প্রশ্ন ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসের সময় নিতে হবে। এখন বিজি প্রেস এসএসসি পরীক্ষার কাজ করছে। মে থেকে তারা এইচএসসি পরীক্ষার কাজ শুরু করবে। আমরা ফল প্রকাশের পর ভেন্যুর তথ্য পেলে বিজি প্রেসের সঙ্গে সমন্বয় করে লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করবো। ফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যে সভা করে এসব বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সারাদেশের ২৪টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। এবার স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮ লাখ ৫৫ হাজার প্রার্থী এবং কলেজের পরীক্ষায় ৩ লাখ ৮৮ হাজার প্রার্থীর অংশ নেয়ার কথা ছিলো। মোট ৬ লাখ ৮ হাজার প্রার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। এর আগে ১৫তম ও ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ করতে পেরেছিলো এনটিআরসিএ।