রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পুরোনো শিক্ষিকাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তার স্থলে একজন নতুন শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে কলেজটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে নাসরিন সুলতানা দাবি করেন, কলেজ কমিটির দেয়া যোগদানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিল। এরপর ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল একই বিভাগে যোগদান করেন অপর শিক্ষিকা শাফিয়াজ আখতার বানু।
আদালত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়। শিক্ষাবোর্ডের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক উপশহর মহিলা কলেজের ১৪ জন প্রভাষকের নামোল্লেখ থাকলেও ১৩ জন প্রভাষকের নিয়োগ ও যোগদানপত্র রয়েছে। ওই ১৩ জনের মধ্যে নাসরিন সুলতানার নিয়োগ ও যোগদানপত্র রয়েছে। তবে শাফিরাজ আখতার বানুর যোগদানপত্র রক্ষিত নথিতে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মহাপরিচালককে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই কমিটি। এই নিষ্পত্তি সভার কার্যবিবরণীতে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর সই করেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. হবিবুর রহমান এবং কলেজ পরিদর্শক ও সদস্য সচিব জিয়াউল হক। অথচ এখনও তাকে কলেজে গিয়ে ক্লাস নিতে দেওয়া হচ্ছে না। নানান ভয় দেখানো হচ্ছে।
রাজশাহীর উপশহর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদের কাছে থাকা কাগজপত্রে কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম শিক্ষিকা শাফিয়াজ আখতার বানু। যদিও বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন অপর শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা। আদালত রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডকে তদন্তে জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর শিক্ষাবোর্ডের তদন্তে নাসরিন সুলতানাকে প্রথম শিক্ষিকা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত রায় দেবেন। আর রায় অনুসারেই তারা কাজ করবেন। এর আগে তাদের হাতে করার কিছুই নেই বলে জানান অধ্যক্ষ।