বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশে নারী কোটা বাতিল হবে কি না তা ঠিক করবে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়। এনটিআরসিএ থেকে এ বিষয়ে গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। জন প্রশাসনের মতামত জানতে চিঠি দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে আজ রোববার। এনটিআরসিএর ১০১তম নিবার্হী বোর্ড সভায় বিষয়টি আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু আছে। কিন্তু দেশের কোনো কোনো এলাকায় নারী কোটা পূরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এলাকাভেদে বর্তমানে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নারী কোটা চালু আছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি পদে শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ করার একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিগত সরকার। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়। নারী ও পোষ্য কোটা রাখা হয়নি।
দেশে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা কার্যকরের নতুন সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। তবে কিছু দপ্তরে আলাদা নিয়োগবিধির কারণে এখনও কার্যকর রয়েছে বিভিন্ন বিশেষ কোটা।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা দেয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ এপ্রিলের চিঠিতে দুর্গম হিসাবে চিহ্নিত উপজেলাগুলোতে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা শিথিলযোগ্য বিবেচিত হবে। এগুলো হলো- ভোলার মনপুরা, বাগেরহাটের শরণখোলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, খুলনার দাকোপ, কুমিল্লার মেঘনা, খুলনার কয়রা, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, নোয়াখালীর হাতিয়া, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, নওগাঁর আত্রাই, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, ময়মনসিংহের ধোবাউড়াতে নারী প্রার্থী নিয়োগে ছাড় দেয়া হবে।
এ ছাড়া কয়েকটি জেলাকে নারী কোটা মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো-সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান। এই জেলাগুলোর মহানগর অথবা জেলা শহরের পৌরসভা ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা শিথিলযোগ্য বিবেচিত হবে।