শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচন - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচন

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: প্রতি বছর তিন মাস পর পর শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষমতা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর ১৫ দিন বা এনটিআরসিএ নির্ধারিত সময় প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

আর আবেদন শেষ হওয়ার পর ১০ দিনের মধ্য শূন্যপদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রার্থীদের পছন্দ ও মেধার ভিত্তিতে একজন করে প্রার্থী নির্বাচন করতে বলা হয়েছে এনটিআরসিএকে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে অনুসরণীয় প্রক্রিয়া জানিয়ে জারি করা নতুন পরিপত্রে এ বিষয়ে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। রোববার ওই পরিপত্রটি প্রকাশ করা হয়। 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংকট চলছে গত কয়েকবছর ধরে। এ সংকট কাটাতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে তিন মাস পর পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বলছে, শূন্যপদের চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে তিন মাস অন্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে প্রাপ্ত শূন্যপদের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবে এবং নিবন্ধিত প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ১৫ দিন বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনলাইনে আবেদন গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পরবর্তী দশ দিনের মধ্যে শূন্যপদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রার্থীদের পছন্দ ও মেধার ভিত্তিতে এনটিআরসিএ একজন করে প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং তা প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করবে। এনটিআরসিএ প্রয়োজনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্যে সঠিকতা যাচাইয়ের জন্যে তথ্য, সার্টিফিকেট বা সনদ নির্বাচিত প্রার্থীকে দাখিল করতে বলতে পারবে। কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বা চাহিত তথ্য প্রদান না করলে তাকে সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।

প্রাথমিক নির্বাচনের ফলাফলের পর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় অনলাইনে শূন্যপদের চাহিদা পাঠাবে।

নতুন পরিপত্র অনুসারে শিক্ষক পদ শূন্য হলে আর শূন্যপদের পদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষা করতে হবে না প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে প্রথম প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোতে সরকার নির্ধারিত কোটার প্রাপ্যতা উল্লেখ করে উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এনটিআরসিএতে অনলাইনে চাহিদা পাঠাবেন। অনলাইনে চাহিদা পাঠানোর জন্য এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট ওয়েবলিংক খোলা থাকবে। শূন্যপদের সঠিকতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এনটিআরসিএ প্রয়োজনে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) বা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহায়তা গ্রহণ করবে।

ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদে নিয়োগের সুযোগ বন্ধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বলা হয়েছে, ইনডেক্সধারী বা কর্মরত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সমপদে নিয়োগ সুপারিশের পুনঃআবেদন বিবেচনা করা হবে না। তবে, কর্মরত পদ ব্যতীত অন্য কোনো উচ্চতর বা নিম্নতর পদের জন্য এনটিআরসিএর প্রত্যয়নপত্র থাকলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা অন্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বা বয়স না থাকলে প্রার্থী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলেও জানানো হয়েছে পরিপত্রে। 

এছাড়া নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়াও রাখা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ার পর বা ভেরিফিকেশন চলমান থাকা অবস্থায় সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে এনটিআরসিএ প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করতে পারবে। 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার - dainik shiksha সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছার আগে নোট-গাইড ছাপা বন্ধের নির্দেশ - dainik shiksha পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছার আগে নোট-গাইড ছাপা বন্ধের নির্দেশ ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ইউএনওর খোলা চিঠি - dainik shiksha ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ইউএনওর খোলা চিঠি শিক্ষকদের সতর্ক করে বদলি আবেদনের তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha শিক্ষকদের সতর্ক করে বদলি আবেদনের তারিখ ঘোষণা ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাকৃবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর - dainik shiksha বাকৃবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু ৯ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জুলাই আন্দোলনকে ভারতের স্বীকৃতি দেয়া উচিত - dainik shiksha জুলাই আন্দোলনকে ভারতের স্বীকৃতি দেয়া উচিত please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0077440738677979