শরীয়তপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক সঞ্জিত কুমারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা। গতকাল বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে নিহতের ভাই অজিত কুমার দাস বলেন, গত বছরের ১১ মার্চ সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার মিত্র-তেতুলিয়া গ্রামের বাবুল মিত্রর মেয়ে বীথি রানী মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিক্ষক সঞ্জিত কুমারের। কিন্তু ওই বিয়েটি ছিল প্রতারণা মাত্র। সঞ্জিতকে খাবার সঙ্গে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়। এতে করে অস্বস্তিবোধ করতে থাকে সঞ্জিত। এমনকি বিয়ের রাতেই স্ত্রীর কাছে না থেকে এমনকি স্ত্রীকে সঙ্গে না নিয়ে খুলনার বাসায় ফিরে আসে।
এরপর কালিয়া চলে গেলে বিয়ের দশম দিনে গত ১৩ মার্চ স্কুলের অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরে তেরখাদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খবর শুনেই বীথি রানী মিত্র, তার ভাই এবং একদল লোক সঞ্জিতদের বাড়িতে এসে লাশের হাত থেকে আংটিসহ ঘরে থাকা অন্যান্য গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। যাবার সময় বিথী অন্যত্র বিয়ে করার জন্য সঞ্জিতের পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে যায়। কিন্তু ঘটনার ১২ দিনের মাথায় সরকারি চাকরি থেকে সঞ্জিতের প্রাপ্য টাকা ও সম্পত্তির ভাগ নিতে আবেদন করে সে। হিন্দু শাস্ত্রের আইন অমান্য করে সেই আবেদন গ্রহণ করে তার নামে চেক ইস্যু করা হয়।
অজিত কুমার দাস আরো বলেন, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে প্রতারণা করে বিথী পরিকল্পিতভাবে সঞ্জিতকে হত্যা করেছে। পরিকল্পনামতো এখন টাকা ও সম্পত্তি লুটে নিতে চাইছে চক্রটি। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় এখন তাদের পরিবারের সদস্যদেরও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় বিথী রানী মিত্রের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেক আগে থেকেই আমার স্বামী সঞ্জিত অসুস্থ ছিলেন। যেটা বিয়ের আগে আমাদের জানানো হয়নি। এখন মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজনই তার সম্পত্তিসহ টাকা-গয়না আত্মসাৎ করতে আমাদের হত্যাকারী সাজানোর অপচেষ্টা করছেন।