নানা জটিলতায় চূড়ান্ত সুপারিশ না পাওয়া প্রায় এক হাজার প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে তারা বিভিন্ন কারণে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পাননি বলে দাবি করেছেন। ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত ছয় শতাধিক প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত সুপারিশ পাননি। যদিও তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জটিলতা কেটেছে। অপরদিকে নানা কারণে সুপারিশ না পাওয়া প্রায় চারশ প্রার্থীও শিক্ষক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তারা চূড়ান্ত সুপারিশ চেয়ে এনটিআরসিএতে আবেদন করেছেন। যদিও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্তারা বলছেন, ওইসব প্রার্থীর বিষয়গুলো যাচাই বাছাই চলছে। যারা আসলেই জটিলতায় পড়েছেন তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
প্রার্থীরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করেছিলো এনটিআরসিএ। তবে নীতিমালায় সহকারী মৌলভী পদের যোগ্যতা নিয়ে জটিলতা থাকায় ওই পদে ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে নির্বাচিত ৬১৫ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত সুপারিশ স্থগিত রাখা হয়। তবে সে জটিলতা দূর করতে গত ১০ অক্টোবর নীতিমালা সংশোধন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। কিন্তু এখনো নিয়োগ সুপারিশ পাননি ওই ছয় শতাধিক প্রার্থী।
অপরদিকে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েও নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ না পাওয়া ৩৮২ জন প্রার্থী মনে করছেন তারা নিয়োগ সুপারিশ পেতে পারেন। অন্যান্য প্রার্থীর চূড়ান্ত সুপারিশ করার পর তারা জটিলতা নিরসনের আবেদন এনটিআরসিএতে পাঠিয়েছেন। তারাও এখনো নিয়োগ সুপারিশ পাননি।
সহকারী মৌলভী পদে সুপারিশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, সর্বশেষ ডিগ্রি বা ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ থাকলে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতেন না প্রাথীরা। তবে অন্যান্য শিক্ষক পদে শিক্ষা জীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য না। আমাদের একটি তৃতীয় বিভাগ এবং তা ফাজিলে। তাই আমাদের সুপারিশ করেনি। পরে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সে জটিলতা দূর করতে নীতিমালা সংশোধন করেছে। তবে আমাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হচ্ছে না।
তারা আরো বলেন, মাদরাসায় নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে শুরু করেছেন। দৈনিক আমাদের বার্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, তাদের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনো নিয়োগ সুপারিশই পাইনি। আমরা দ্রুত সুপারিশ চাই।
শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ, শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম চালায় এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখা। জানতে চাইলে এ শাখার এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যারা ফাজিলে তৃতীয় বিভাগ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন। তাদের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই চলছে। ৬১৫ জনের সুপারিশ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিলো, তাদের অনেকে ভি-রোল ফরম পাঠাননি। অনেকে ভি-রোল ফরম পাঠালেও অন্যান্য সনদে জটিলতা আছে। অপরদিকে বিভিন্ন কারণে চূড়ান্ত সুপারিশ না পাওয়া ৩৮২ জন প্রার্থী এনটিআরসিএকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তারা সুপারিশপ্রাপ্য ছিলেন। আমরা তাদের তথ্যও যাচাই-বাছাই করে দেখেছি কারা আসলেই জটিলতার জন্য সুপারিশ পাননি।
তিনি আরো বলেন, এ যাচাই বাছাই শেষ হলেই প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। যাচাই-বাছাইয়ে কিছুটা সময় লাগছে। আমার যাচাই শেষ করে একটি সভা আয়োজন করবো। যেখানে ঊর্ধতনদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। তাদের অনুমোদন নিয়ে ওই প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।