শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: বাবা-মাকে স্কুলে শিক্ষকতা করতে দেখে এক সময়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সেই লক্ষ্য ছেড়ে ডাক্তারি পড়ার দিকেই মন দিতে চান, জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের এ বারের মাধ্যমিকে সম্ভাব্য নবম তথা বাঁকুড়ায় সম্ভাব্য প্রথম বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙা মিলনপল্লির বাসিন্দা ওই কৃতী বলেন, বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক। এক সময়ে নিজেও শিক্ষক হব ভাবতাম। তবে এখন যা পরিস্থিতি, ওই পেশায় স্বচ্ছভাবে নিয়োগ কতটা হবে, ধন্দ রয়েছে। আগামী দিনে ডাক্তারি নিয়ে পড়ার কথা ভাবছি।

প্রিয় বিষয় অঙ্ক হলেও একশো না মেলায় কিছুটা হতাশ অরুণিমা। তিনি জানান,  আটটি বিষয়ে আলাদাভাবে টিউশন নিয়েছেন। ‘অ্যাকশন’ ও ‘থ্রিলার’ সিনেমা খুব প্রিয়। ভাল লাগে গোয়েন্দা গল্প পড়তেও।

মেয়ের সাফল্যে খুশি অরুণিমার বাবা অংশুমালি ও মা রুমা বলেন, মেয়ে এক সময়ে শিক্ষকই হতে চেয়েছিল। এখন তা আর চাইছে না। যে পথেই যাক, আমাদের সমর্থন থাকবে!

মেধা-তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়া জেলার তিন জন। তাদের অন্যতম বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌভিক দত্তও চিকিৎসক হতে চান। ক্রিকেটের ভক্ত সৌভিকের বাবা সঞ্জীব দত্ত সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। মা সূচিত্রা গৃহবধূ। ভূগোল ও জীবন বিজ্ঞানে একশো পাওয়া সৌভিক বলে, প্রতি বিষয়ে টিউশন নেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতেও ভাল সময় পড়াশোনা করেছি। তবে আরও একটু ভাল ফল আশা করেছিলাম।

দশম স্থানে রয়েছেন ভবিষ্যতে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চাওয়া, ক্রিকেটের ভক্ত তালড্যাংরা ফুলমতী হাই স্কুলের সৌমিক খাঁও। তার বাবা কিরণ খাঁ তালড্যাংরা গ্রামীণ হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট। মা রুম্পা খাঁ সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স। বাড়িতে ন’-দশ ঘণ্টা পড়াশোনার পাশাপাশি চার বিষয়ে টিউশন নিয়েছেন। বাকি বিষয়গুলি পড়াতেন বাবা ও মা। সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতাও যথেষ্ট মিলেছে জানিয়ে সৌমিকের আর্জি, ক্লাস চলাকালীন এক বার মাথায় চাঙড়ও ভেঙে পড়েছিল। স্কুল ভবনের সংস্কার খুব দরকার। প্রশাসন যেন একটু নজর দেয়।

পড়াশোনা সামলে ক্রিকেটও চলেছে সমান তালে। তার পরেও মাধ্যমিকের ফলে তাক লাগিয়েছেন দশম স্থানে থাকা বাঁকুড়ার গড়রাইপুর হাই স্কুলের সৌম্যদীপ মণ্ডল। বাবা লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল শিক্ষক। মা মহুয়া নাদ মণ্ডল গৃহবধূ। সৌম্যদীপের মা বলেন, ছেলে ভাল ফল করবে ভেবেছিলাম। তবে এতটা ভাল ফল আশা করিনি। পড়াশোনার জন্য কখনও বলতে হয়নি। যখন পড়াশোনা করতে ভাল লাগত না, ক্রিকেট খেলত বা টিভিতে দেখত।

সাফল্যের জন্য বাবা-মা ও স্কুলের শিক্ষকদের অবদান রয়েছে, জানাচ্ছেন ভারতের তরুণ ‘ওপেনার’ শুভমন গিলের ভক্ত সৌম্যদীপ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। সে পথেই এগুচ্ছি। সূত্র: আনন্দবাজার

সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ - dainik shiksha সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনা - dainik shiksha দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনা সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ - dainik shiksha সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত আতঙ্কে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha আতঙ্কে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় মিলেছে - dainik shiksha ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় মিলেছে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047061443328857