আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ¦ হযরত মাওলানা মুফতী শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা. জি. আ.) বলেন, আমরা মুসলমান। আমাদের ধর্ম ইসলাম। অথচ ৯৫ শতাংশ মুসলিমদের বসবাসরত এদেশে ইসলাম নিয়ে দিন দিন ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ থেকে মাদরাসা শিক্ষাও বাদ যাচ্ছে না। আধুনিক অথবা সমমানের শিক্ষার নামে মাদরাসা শিক্ষাকেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিগত দিনে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে হতাশ করেছে। আর এর মাশুল দিচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আগামীতে পাঠ্যসূচিতে আওলিয়ায়ে কেরামদের আবাদকৃত দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলকসহ সকল ক্ষেত্রে হক্কানী আওলিয়ায়ে কেরামদের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
মাহফিলের ২য় দিন মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামসুল আলম, প্রো-ভিসি আবু জাফর খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহা. আবদুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমিন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান প্রমুখ।
এসময় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শামসুল আলম বলেন, আজ থেকে ১৩৩ বছর পূর্বে এ মাহফিলের সূচনা হয়। এখানকার আলিয়া মাদরাসা দেশের সর্বপ্রথম কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসার ছাত্ররা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে নানামুখী দায়িত্ব পালন করছে। আমার বাবাও এ দরবার সংশ্লিষ্ট মাদরাসার ছাত্র ছিলেন। তার থেকে আমি এ দরবারের অবদানের কথা অনেক পূর্বেই জেনেছি। বর্তমানে ছারছীনা দরবার শরীফের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বিরাজমান রয়েছে। আমি এ দরবারে আসতে পেরে গর্বিত আগামীতেও আসবো ইন শা আল্লাহ। ছারছীনা পীর ছাহেব দাবির প্রেক্ষীতে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আলোচনা করে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
আজ ১ ডিসেম্বর তিনদিনব্যাপী মাহফিলের শেষদিন। এদিন বাদ জোহর মাহফিলের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ আখেরি মোনাজাতে শরীক হতে মাহফিলে এসে পৌঁছেছেন।