শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ভার নিয়ে পরিপত্রে ভুল! - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ভার নিয়ে পরিপত্রে ভুল!

মো. ফারুক হোসেন |

অনেক নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজ বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখনো কোনো জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক পদ নেই। সেখানে অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের পরের পদ অষ্টম গ্রেডের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ। এরপর প্রভাষক পদ ৯ম গ্রেডের। তার নিচে সহকারী শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক পরিপত্রে জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব দেয়া যাবে না।

  এখানে কোনো ভুল বা অসংগতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। 
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষকরাই সে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, ৬ষ্ঠ গ্রেডের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক এ দায়িত্ব পাবেন। এখানে সহকারী প্রধান শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত হওয়ার কথা। 

এরপর অনেক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুধু মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত, কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত নয়। এখানেও কোনো নবম গ্রেডের প্রভাষক নেই। ৬ষ্ঠ গ্রেডের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক-সহকারী অধ্যাপক তো পরের কথা। এখানেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিষয়ক কোনো নির্দেশনা নেই বা পরিপত্রে ভুল হয়েছে। 

এখানে অষ্টম গ্রেডের সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় পদ। এসব প্রতিষ্ঠান সহকারী প্রধান শিক্ষকদের অপমানে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। পরিপত্রে সরাসরি বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া যাবে না। মনে হচ্ছে এ ভুলটি সচিব মহোদয় খেয়াল করেননি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ অসঙ্গতিটি দূর করে দেয়া হলে সহকারী প্রধান শিক্ষকরা খুব উপকৃত হবেন। 

 

মাদরাসা নীতিমালায় আছে, দাখিল মাদরাসা আলিম মাদরাসায় উন্নিত হলে সুপাররা সরাসরি অধ্যক্ষ স্কেল এবং সহকারী সুপাররা সরাসরি উপাধ্যক্ষ হন। কিন্তু স্কুল ও কলেজ নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নিত হলে প্রধান শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে (মাস্টার্স) অধ্যক্ষ পদ পান, কিন্তু একধাপ নিচের স্কেলে বেতন পান। সহকারী প্রধান শিক্ষকদের এখানে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ রকম অনেক প্রতিষ্ঠান সহকারী প্রধান শিক্ষকের মাস্টার্স পাস থাকা সত্ত্বেও উপাধ্যক্ষ পদ দেয়া হয়নি। এ অসঙ্গতি দূর করার ব্যবস্থা নিলে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের দুঃখ অনেকটাই লাঘব হবে।

লেখক: সহকারী প্রধান শিক্ষক, অশ্বদিয়া গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নোয়াখালী

 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের - dainik shiksha সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো - dainik shiksha যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ - dainik shiksha সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0056490898132324