শিক্ষাব্যবস্থা পর্যালোচনা সময়ের দাবি - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষাব্যবস্থা পর্যালোচনা সময়ের দাবি

গুরুদাস ঢালী |

শিক্ষা হলো শিশু বা ব্যক্তিকে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে, মনে নেয়ার প্রক্রিয়া। তাই শিক্ষার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শিক্ষা হলো ব্যক্তি বা শিশুর মনের পরিপূর্ণ বিকাশ যা তাকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিকাশে সহায়তা করে। শিক্ষা হলো শিশুর আচরণের পরিবর্তনের মাধ্যমে ঈঙ্গিতপূর্ণ বিকাশ সাধন করা। শিক্ষার দুটি অর্থ, সংকীর্ণ অর্থ ও ব্যাপক অর্থ। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা হলো গতানুগতিক ও পুঁথিকেন্দ্রিক শিক্ষা। আর ব্যাপক অর্থে শিক্ষা হলো শিক্ষার্থীর নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশ সাধন। এই শিক্ষা শিশুর  জীবনব্যাপী প্রক্রিয়মান।

ইংরেজি ‘Education’ শব্দটি চারটি লাতিন শব্দ থেকে এসেছে, যথা –Educare’ যার অর্থ হলো –পরিচর্যা বা প্রতিপালন করা, ‘Educere’ যার অর্থ হলো নির্দেশনা দেয়া বা নিষ্কাশন করা। ‘Educatum’ অর্থ হলো শিক্ষাদানের কাজ, ‘Educo’  অর্থ বাইরে নিয়ে আসা।

মানবজাতির জীবনযাত্রায় শিক্ষা একটি কষ্টি পাথর। শিক্ষার ইতিহাস অনুসরণ করলে শিক্ষার তিনটি ধারা পরিলক্ষিত হয়। এগুলো হলো অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা। শিক্ষার এই ত্রিধারা কোনো না কোনোভাবে মনুষ্য জীবনে প্রভাবিত। 

শিক্ষা কী, কেনো, কোথায় কীভাবে হাজার ও প্রশ্ন আসতে পারে। হয়ত আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। তবে শিক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে হলে শিক্ষার সংকীর্ণতা ও ব্যাপকতা সম্পর্কে জানা উচিত। আজন্ম প্রকৃতির নীড়ে, সমাজ সংসার থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে। অবারিত দৃশ্য, সাদৃশ্য, জানা অজানা, বোঝা না বোঝার দোলায় জ্ঞান বৃদ্ধি করে চলেছে।

সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা হলো পুঁথিগত বা গ্রন্থগত বিদ্যা বা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিশুর কোমল মনের মধ্যে জ্ঞানের বিস্তার লাভ করা। এই শিক্ষায় শিক্ষক বা পুস্তক জ্ঞান কেন্দ্র বা সম্পূর্ণ জ্ঞানের উৎস। বিশেষ করে বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এই শিক্ষা সম্পন্ন হয়ে থাকে ও শিক্ষার্থীরা অর্জন করে।

শিক্ষাবিদ ম্যাকেঞ্জি সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার সংজ্ঞায় বলেছেন, ‘সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা হলো শিশুর ক্ষমতাকে বিকশিত ও অনুশীলন করার সচেতন প্রচেষ্টা’।

পুঁথিগত বিদ্যার মাধ্যমে, ডিগ্রি অর্জনের ক্রিয়া, চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ, নির্দিষ্ট নিয়মকানুন বিদ্যমান পরিলক্ষিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক দেয়া ও নেযার মধ্যে আবদ্ধ। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার দুটি তত্ত্বের নাম, স্বর্ণ কণিকা তত্ত্ব এবং পাইপ ও নলের তত্ত্ব । সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার একটি অন্যতম দিক হলো স্বর্ণ কণিকা তত্ত্ব এই তত্ত্ব অনুযায়ী শিক্ষক হলেন জ্ঞানভান্ডার। আর অপরদিকে শিক্ষার্থীরা হলেন শ্রোতা। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর শূন্য মন জ্ঞানের দ্বারা পূর্ণ করাই হলো শিক্ষকের অন্যতম কাজ। তাই সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা স্বর্ণ কণিকা তত্ত্ব নামে পরিচিত। একে প্রথাগত শিক্ষা বললে ও ভুল হবেনা । 

আমরা জানি, যে শিক্ষা বিদ্যালয়ের চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ তাকে প্রথাগত শিক্ষা বলে। এই শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম হলো বিদ্যালয়। অর্থাৎ বিদ্যালয় হলো প্রথাগত শিক্ষা বা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার এমন একটি মাধ্যম যেখানে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাদান কার্য সুসম্পন্ন হয়।

তাই সমাজ দ্বারা নির্ধারিত ও নির্বাচিত যে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কঠোর ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-শৃঙ্খলার মাধ্যমে, সুনির্দিষ্ট পাঠক্রম অনুসরণ করে যে বিশেষ শিক্ষাদান সম্পন্ন করা হয়, তাকে প্রথাগত শিক্ষা বলে। এই শিক্ষার আবার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বা বিধিবদ্ধ শিক্ষা নামেও পরিচিত। তবে সবার কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান, সংকীর্ণ শিক্ষা নিয়ন্ত্রিত ও শৃঙ্খলিত।

যে শিক্ষা প্রক্রিয়া শিশুর সারা জীবনব্যাপী চলমান তাকে ব্যাপক অর্থে শিক্ষা বলে। এই শিক্ষা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা জীবনব্যাপী চলতে থাকে বা ব্যক্তির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত থাকে। বিশিষ্ট দার্শনিক কিলপ্যাট্রিক বলেছেন, ব্যাপক অর্থে শিক্ষা হলো সুচিন্তিত জীবনযাপনের শিক্ষা”।

এই শিক্ষা শিশুর সারা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া, এই শিক্ষা শিশুর চাহিদা ও আগ্রহভিত্তিক, শিক্ষার্থী সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনের প্রক্রিয়া। ব্যাপক অর্থে শিক্ষা শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাগুলোর বিকাশ সাধন করে। এ শিক্ষার লক্ষ্য শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ। পঠন, লিখন, গণিত, বিনোদন, অধিকার, দায়িত্ববোধ এবং সম্পর্ক বিষয়ে জ্ঞান। ব্যাপক অর্থে শিক্ষার পাঠক্রম বহুমুখী পাঠক্রম।

ব্যাপক অর্থে শিক্ষার অনুঘটক, মাধ্যম বিদ্যালয়, পরিবার, রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা, প্রেস বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ব্যাপক অর্থে শিক্ষায় আমৃত্যু পরিব্যপ্ত। শিক্ষকের ভূমিকা অভিভাবক, বন্ধু, দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে। শিক্ষার্থী সর্বদা জ্ঞান গ্রহীতা। শিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বিদ্যমান কার্যকরী নির্ণয়ক, প্রয়োগ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রহরী, শিক্ষাপোকরণের ব্যবহার নতুনভাবে আবিস্কারকের ভুমিকায়।

ব্যাপক অর্থে শিক্ষা  হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষের অভিজ্ঞতার প্রসারণ ঘটে। এই শিক্ষা ব্যক্তিগত এবং সমাজ-জীবনে সর্বদা উন্নয়ন ঘটাবার চেষ্টা করে। আর এর ফলে মানুষ সুষ্ঠু সমাধানের পথ খুঁজে পায় এবং আচরণ ধারার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সংগতি সাধনে সমর্থ হয় উঁচু মূল্যবোধ ধারণ করে। ব্যক্তির জীবনব্যাপী চলমান অবিচ্ছেদ্য অংশ যা নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে তাকে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে সুষ্ঠু ও সার্থক সংগতি বিধানে এবং সমাজের বহুমুখী দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে। শিক্ষা হলো শিশুর ওপর সমাজের পরিকল্পনার সমষ্টি যা তার ব্যক্তিসত্তার চরম বিকাশের মাধ্যমে জীবনের পরম সত্য সন্ধানে সহায়তা করে, নিজেকে প্রতিষ্ঠীত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। 

বর্তমানে আমাদের পরিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা চলমান। এতো বড় পরিবর্তন আগে হয়েছে কি না সন্দেহ আছে। পরিবর্তন সময়ের প্রয়োজনে অবসম্ভাবী হয়ে উঠে। দেশ, জাতি ও সমাজ উন্নত হবে এটা আমার আপনার সকলের কাম্য।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা-২০২১, রূপকল্প-র ৩ নং ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশের বাইরেও বহুমাত্রিক শিখনের সুযোগ সৃষ্টি ও স্বীকৃতি প্রদান। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১, রূপরেখা অত্যন্ত চমৎকার ও যুগোপযোগী নির্দেশনা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এর বাস্তবায়নে এতো বাধা কেনো। সবার কাছে হয়ত এমনটা মনে হয়, মতবিরোধ, মতপার্থক্য, মতভেদ থাকতেই পারে কিন্তু একটা বিষয় তো একমত, এদেশ আমার আপনার সকলের। দেশ বা রাষ্ট্রকে বিশ্ব সভায় সমুন্নত রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্য কোনো বিকল্প পথ আছে বলে তো মনে হয় না।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, অবস্থান, মুল্যায়ন, অবলোকন, নিয়ে বিভিন্ন পথে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো সুব্যবস্থাপনার নির্দেশনা আমার চোখে পড়েনি। অত্যন্ত সুন্দর একটা বিষয়, শিখন পদ্ধতি কেনো শৃঙ্খলিত থাকবে। শিক্ষার্থী প্রকৃতি, সমাজ সংসার, দেশ, প্রতিষ্ঠানের অবারিত প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করবেন। জীবনের যেকোনো প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। এটা সবার একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত। কিন্তু কষ্টটা হলো আমাদের বিদ্যালয় আছে, শিক্ষক আছেন, শিখন ব্যবস্থার সঠিক নির্দেশনার অভাবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম, দুর্নীতি আর চাটুকারিতা বেড়ে গেছে। ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব অনুসারে স্বাভাবিক নিয়মে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খাদ্যসংকট এমনকি দুর্ভিক্ষ অবশ্যম্ভাবী। এই কারণে ম্যালথাস মনে করতেন যে, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিখন ব্যর্থতার কারণে কিন্ডারগার্টেন, প্রি-ক্যাডেট স্কুলের জন্ম। দেশে হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন, প্রি-ক্যাডেট স্কুল আছে। কাউকে কাউকে সরকার পাঠদানের অনুমতি দিয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছ বিদ্যালয়! কিন্তু এখানে কী পড়ানো হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, কে পাঠদান করছেন, শিশুর শিখন যোগ্যতার মুল্যায়ন কী হচ্ছে দেখার কেউ নেই। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক শ্রেণি পরিচালনা করার সুযোগ পান না, শিক্ষা অফিসে আসা যাওয়ার মধ্যে দিন শেষ।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষন শিখন মান নিয়ে আলোচনা শেষ করা যাবে না। এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগের আগে একটা বড় অংশের শিক্ষক স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার নিয়ামকে দেখা গেছে তাদের অধিকাংশ সাধারণ ডিগ্রি পাস, মেনে নিতে পারলেও মনে নিতে পারছেন না অনেক কিছুই। এ অংশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির চাদরে সব অর্জন ম্লান হয়ে যাওয়ার পথে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মদরাসা, কলেজগুলো নিজের নিয়মে চলছে। কয়েকজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক, সুপার, অধ্যক্ষ আছেন বলে রক্ষা। এখানেও পাঠদান কী, কীভাবে চলছে এখনো অজানা। পত্রিকার পাতা খুললে শুধু এর অস্তিত্ব বর্তমান।

উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল পদচারণা, স্বাক্ষর নির্ভর করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষণ শিখনের ওপর। মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর উন্নত শিখন নির্ভর করে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর। তাহলে অকপটে স্বীকার করতে পারি প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে উচ্চশিক্ষার সুতিকাগার। বর্তমান জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১-এর বলা হয়েছে আমরা প্রাইভেট ও কোচিং ব্যবস্থা থেকে বের হতে পারবো। একটা বিষয় আমাদের সবার জানা দরকার প্রাইভেট বা কোচিং কী, কেনো এবং কেনো শিক্ষার্থীরা সেখানে যান। প্রাইভেট বা কোচিং হচ্ছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা সহায়ক কেন্দ্র। অনেকেই একে আবার শিক্ষা ব্যবসা কেন্দ্র বলছেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাসের শিখন ঘাটতি দূর করার জন্য স্কুল কলেজের শিক্ষক ও উঁচু স্তরের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এটা পরিচালিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুল কলেজের শিক্ষকরা ব্যাচ করে সহায়তা করছেন। ভালো খবর, আর কিছু না হোক শিক্ষকরা কিন্তু চেষ্টা করছেন। বর্তমান শিক্ষাক্রম যোগ্যতাভিত্তিক। তাহলে বিভিন্ন জায়গায় পড়ার পরেও আমাদের শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জনে কেনো ব্যর্থ? উত্তর দেয়ার কেউ নেই। আবার দেখছি বছরের প্রথম দিন থেকে প্রাইভেট কোচিং শুরু। কিন্তু শিক্ষক বলছেন আমরা বোঝতে পারছি না, আমাদের প্রশিক্ষণ দরকার। প্রাইভেট কোচিংয়ে তাহলে কী হচ্ছে। আবার দেখা যায় বড় ছোট সাইনবোর্ড, লিফলেট লেখা থাকে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। তারা তাহলে কী পড়ান?

যতোদিন না প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আলাদা করে সমন্বয় সাধন করা না যাবে ততোদিন সংকীর্ণ, ব্যাপক বা যোগ্যতাভিত্তিক কোনো শিক্ষাই শিক্ষার্থীর শিখন দক্ষতা বাড়াতে সক্ষম হবে না। প্রাথমিকে তো আর যাই হোক বলার মতো কয়জন আছে, কিন্তু মাধ্যমিক, কলেজে বা মাদরাসাতে বলার কেউ নেই । 

লেখক: শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার টেকনিক্যাল অফিসার

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011250019073486