শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের গ্রাজুয়েট তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বুটেক্সের নতুন এ উপাচার্য।
তার মেয়াদে বুটেক্সকে সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
উপাচার্য তার বক্তব্যের শুরুতে জুলাই বিপ্লবে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও আবাসন সমস্যার সমাধান, পূর্ণ বিভাগীয় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান উপাচার্য। বুটেক্সের শিক্ষক সংকট সমাধানে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
গবেষণায় অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রতিটি বিভাগে একটি করে গবেষণা লাইন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান বুটেক্সের নতুন উপাচার্য। এছাড়া বুটেক্সের শিক্ষকদের জন্য অতিদ্রুত ক্লাস সরঞ্জামাদী (কম্পিউটার ও অন্যান্য) সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন উপাচার্য। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনের মাধ্যমে বুটেক্সকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান উপাচার্য।
অন্তর্বতী সরকারের মত বুটেক্সেও সংস্কারের ঘোষণা দেন উপাচার্য। রেজিস্ট্রার অফিস আধুনিকায়ন, অর্থ ও হিসাব শাখার কাজের গতি বাড়ানো, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের চাকায় গতি আনতে সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান উপাচার্য।
শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে সর্বোচ্চ সততার পরিচয় দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন ড. জুলহাস।
সর্বোপরী টেক্সটাইল শিল্প কারখানার সাথে নিবীড় যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বুটেক্সের সিলেবাসকে আধুনিকায়ন এবং শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বুটেক্সের জেষ্ঠ্যতম অধ্যাপক উপাচার্য ড. মো জুলহাস উদ্দিন।