দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রলালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠানো ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের সংশোধনীগুলো প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে অবহিত করা এবং তাদের মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীর নিজ-নিজ পাঠ্যবইয়ে সংশোধনীগুলো সংযোজন নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো।
এর আগে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল ধরা পড়েছিলো। গত ৩৫ বছরের মতো এবারো ক্লাস শুরুর পর পাঠ্যবইয়ে থাকা নানা ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়।
একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ইমেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি।
গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির চার বইয়ে ১৮৮ ভুল, ৫৮টি অসংগতি চিহ্নিত করে। পরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেয় এনসিটিবি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এই কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণির ৫ বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।
ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এনসিটিবি থেকে জানা যায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুলত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছে পাঠানো হবে।
পরে শ্রেণিশিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।
জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, পাঠ্যবই যেসব ভুলত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।