দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি: শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরি করার মানসিকতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রোল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শুক্রবার বিকেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যোগাযোগ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র অল্প কিছু সংখ্যক সরকারি চাকরির যে হাতছানি, সেটার প্রতি ধাবিত হওয়ার মানসিকতা শিক্ষার্থীদের সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রোলিং হচ্ছে।
এ সময় কর্মক্ষেত্রে নিজেকে এগিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল এবং যোগাযোগ সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি উৎসাহিত করার আহ্বানও জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের শুধু অল্প কিছু সংখ্যক সরকারি চাকরির যে হাতছানি, সেটার প্রতি ধাবিত হওয়ার মানসিকতা শিক্ষার্থীদের সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রল হচ্ছে।
বলা হচ্ছে যে লাইব্রেরী কি শুধু সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জায়গা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে শুধু পাঠ্য বই নয়, এর বাইরে অনেক গবেষণাধর্মী বিষয়ের ওপরে জ্ঞান আহরণ ও চর্চার জায়গা। শিক্ষার্থীদের এমন মানসিকতা পরিবর্তনে অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অ্যালামনাইরা কিন্তু সবাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে কর্মরত নয়। জীবনের নানান ক্ষেত্রে আপনারা সফলতা পেয়েছেন। আমাদের সন্তানদেরও যেনো আমরা সেভাবে শিক্ষা দিতে পারি সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দিয়েছেন, তা হলো- উন্নয়ন হয়েছে দৃশ্যমান এবার হবে কর্মসংস্থান।
আমাদের সন্তানদেরকে সেই কর্মসংস্থানমুখী করতে শিক্ষক, অ্যালামনাইসহ সবাই মিলে ইকোসিস্টেমকে ডেভেলপ করতে হবে।
অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক গড়া এবং সমাজের সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক গড়ে তা এগিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর আবুল মনসুর আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাসরুর জামান রনি।