দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ মারুফের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ক্লাস বর্জন করে বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, জীববিজ্ঞানের ওই শিক্ষকের আচরণ আগে থেকেই অসন্তোষজনক। কিন্তু এতদিন কেউ কিছু বলেনি। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে প্রয়োজনে আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাখাওয়াত উল্লাহ মারুফ উপজেলা সদরে এক বাসায় প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ছাত্রীদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন। ওইদিন বিকালে অন্য ছাত্রীদের চলে যেতে বলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে থাকতে বলেন। সবাই চলে যাওয়ার পর শিক্ষক জোরপূর্বক ওই শিক্ষার্থীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পরে কৌশলে ওই শিক্ষার্থী কক্ষ থেকে বের হয়ে বিষয়টি তার সহপাঠী ও পরিবারের লোকজনকে জানায়।
পরে তারা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানালেও তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগতও করেননি। পরে পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘটনা জানাজানি হলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। গতকাল ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ মুর্শেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমদ ও দোয়ারাবাজার থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যায়। তবে জীববিজ্ঞান শিক্ষক সাখাওয়াত উল্লাহ মারুফ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এসব অহেতুক।
এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমি ছুটিতে আছি। প্রতিষ্ঠান প্রধান আব্দুল মালেক বলছেন, আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমাকে মোবাইল ফোনে অবগত করেছেন। জীববিজ্ঞানের শিক্ষক সাখাওয়াত উল্লাহ মারুফ বর্তমানে ছুটি নিয়ে ময়মনসিংহের বাড়িতে গেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু বলেন, এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।