শিক্ষায় বাজেট বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমাদের জাতির পিতা ৭০ এর প্রাক-নির্বাচনী ভাষণে বলেছিলেন, শিক্ষা বিনিয়োগের সর্বশ্রেষ্ঠ খাত, এখানে জিডিপির শতকরা ৪ ভাগ দেয়া উচিত। কেউ কেউ বলেন শিক্ষায় জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন আমরা পুরোটাকে ধরলে ৩ ভাগের কাছাকাছি আছি। আমাদের এটাকে বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে শিখন ঘাটতি নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, টাকার অংকে হলে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি-জামায়াত আমলের শেষ বছরে আমাদের সারা দেশের বাজেট ছিলো ৬০ হাজার কোটি টাকা। এখন আমাদের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাজেট প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। সেই অর্থে বিনিয়োগ অনেক বেশি।
মন্ত্রী বলেন, বাজেটে টাকা বাড়বে, আরো অনেক বাড়বে। এখন ভালো একটি শিক্ষাক্রম হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। আমরা এখন যেসব কাজ করছি সেগুলো শেষ হলে বাজেট বাড়বে। আমি তো বলছি, শিক্ষায় একটি মেগা প্রজেক্ট হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন চাইছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনেক বেশি ক্লাব গঠন করতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লাব বেইজ হবে। দাবা ক্লাব হবে না কেনো, বিজ্ঞান ক্লাব হবে না কেনো, ডিবিটিং ক্লাব হবে না কেনো অন্যান্য আরো ক্লাব হবে না কেনো? খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে। এখন রোবোটিক ক্লাব হচ্ছে, নানান কিছু হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে তাদের আর একটু এগিয়ে দিতে হবে। শিক্ষক রিক্রুটম্যান্ট প্রক্রিয়াকে আরো অনেক ভালো করার চেষ্টা করছি। শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্খিক নিরাপত্তা যত ভালো করতে পারবো, আমরা ততো এগিয়ে যেতে পারবো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিরূপণে এ গবেষণাটি করেছে।মোট ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৮ হাজার ৮৩৮ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করে বিষয়ভিত্তিক শিখন অবস্থা যাচাই করা হয়েছে।
করোনার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে সব শ্রেণি ও বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ওই গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাটি বলছে, সামগ্রিকভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।