ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে দৈনিক সমকাল মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৩১ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার তথ্য প্রমাণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফেরেশতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন একই প্রতিবেদক। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার ময়নাতদন্তে ধরা পড়েছে সমকালের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।
দৈনিক সমকালে গত ৩১ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশালের জেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন নিবন্ধন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী প্রতি তিন টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘বরিশালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা : মাথাপিছু ঘুষ তিন টাকা! প্রতিবেদকের নাম সুমন চৌধুরী। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩ টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিনি এ টাকা নেন। গত এপ্রিলে প্রায় ৩৯ হাজার পরীক্ষার্থী বাবদ তিনি প্রায় সোয়া লাখ টাকা নেন।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের উপাধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৩ টাকা করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা সমকালের কাছে স্বীকার করেছেন। হারুন অর রশিদ আরও বলেন, গতকাল শনিবার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ওই টাকা দেয়ার তাগাদাও দিয়েছেন। গত এপ্রিলে তিন টাকা করে দেয়ার কথা সমকালকে জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষ হারুন।
পাঠক, মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে এর ঠিক বিপরীত একটা প্রতিবেদন লিখেছেন একই প্রতিবেদক। ৭ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের সাফাই গেয়ে লেখা প্রতিবেদনে তাকে ফেরেশতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষে বরিশালের শিক্ষক সমিতির একজন সাবেক নেতাকে সাক্ষ্য মানা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর শেষ পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম: বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিস, ঘুষ বন্ধ তাই অন্যত্র বদলি হয়ে যান তারা।’
পাঠক দেখুন ৩১ জুলাই সমকাল পত্রিকা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ প্রকাশ করেছে। কিন্তু ৭ ডিসেম্বর একই প্রতিবেদকের লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠানটিতে এসে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এতেই ক্ষান্ত নন প্রতিবেদক। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বিভিন্ন সূত্র ও সেখানে সেবা নিতে আসা একাধিক প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালে বরিশালে যোগদানের পর সেখানকার দাপ্তরিক কাজে অনেক স্বচ্ছতা ফিরেছে।
পাঠক বিচার করুন সমকালের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের নেপথ্যে কী?
পাঠক, গত ২৮ নভেম্বর দৈনিক শিক্ষায় “শিক্ষা কর্মকর্তার ‘সম্মানী বাণিজ্য” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের ঘুষ বাণিজ্যের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনটি পড়ুন:
“জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল পরীক্ষায় ‘সম্মানী’ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এর মাধ্যমে তিনি বরিশাল জেলার ৬৩ কেন্দ্র থেকে এবার সোয়া লাখ টাকার বেশী সম্মানী নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শিক্ষা কর্মকর্তার সম্মানী নেয়ার কোন বিধান নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ইউনুস।
কেন্দ্রসচবিসহ পরীক্ষা নিতে যারা সরাসরি দায়িত্ব পালন করেন তাদের সম্মানী দেয়া হয়। আর এরআগে বরিশালের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সম্মানী দিতে হয়নি। কিন্তু গত দুই বছর ধরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘সম্মানী’র নামে টাকা দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, আগে এ ধরণের কোনো নিয়ম ছিলো না। কিন্তু বর্তমান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে তাকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সময় সম্মানী দেয়া নিয়মে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষা অফিসে গিয়ে টাকা দিয়ে আসা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয় যা শেষ হয় ১৭ নভেম্বর। বরিশাল জেলা কেন্দ্র ছিলো ৬৩টি। এর মধ্যে স্কুল কেন্দ্র ৪৫টি এবং মাদরাসা কেন্দ্র ১৮টি।
বরিশাল নগরীর জগদীশ স্বারসত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন জানান, গত দুই বছর ধরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। এর আগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সম্মানী বাবদ কোনো টাকা দিতে হয়নি। এ বছর আমরা তাকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছি।
মমতাজ মজিদুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, আমরা জেলা শিক্ষা অফিসারকে দুই হাজার টাকা সম্মানী দিয়েছি। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) তিন হাজার টাকা এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে তিন হাজার টাকা এবং ট্যাগ অফিসারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছি। পরীক্ষা কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ট্যাগ অফিসার হলেন সদস্য। তবে পরিপত্রে তাদের সম্মানী দিতে হবে এমন কোনো কথা উল্লেখ নেই। তারপরও পরোক্ষভাবে অনেক কিছু করতে হয়। আমার স্কুলে দুইদিন একজন ম্যাজিস্ট্রেট আসছিলেন। তাকে সম্মানীর টাকা পাঠাতে একটু দেরী হওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে নালিশও করেছিলেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুজ্জামান খান বলেন, আমরা জেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বছরই প্রথম দুই হাজার টাকা সম্মানী দিয়েছি। সব কেন্দ্র সচিবের সাথে আলোচনা করেই টাকার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরীক্ষার সময় দাড়িয়ে আমরা তিন ঘন্টা দায়িত্ব পালন করি। এই জন্য আমাদের সর্বোচ্চ সম্মানী দেয়া হয় মাত্র ১২০ টাকা। আর জেলা শিক্ষা অফিসারসহ অনেক কর্মকর্তা যারা কোনো দায়িত্ব পালন করেন না তারা হাজার হাজার টাকা সম্মানী নেন। আগে কর্মকর্তাদের সম্মানী দিলেও ফিরিয়ে দিতেন কিন্তু গত দুই বছর অনেক কর্মকর্তা চেয়ে চেয়ে সম্মানী নেন।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ইউনুস জানান, এই ধরণের সম্মানী দেয়ার কোনো ফান্ড নেই। তারপরেও অনেক কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও এমনকি ডিসিদেরও নাকি সম¥ানী দেয়া হয় বলে শুনেছি। আবার অনেকে আছেন এই সম্মানী নেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানান।
পাঠক, গত ২৯ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘বরিশালে শিক্ষা কর্মকর্তাদের সম্মানী বাণিজ্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
পড়ুন প্রতিবেদনটি:
“জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ‘সম্মানী’ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। সম্মানীর নামে তিনি বরিশাল জেলার ৬৩ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুধু তাই নয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো থেকে সম্মানী দিতে হয়েছে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। সম্মানী দেয়ার বিধান না থাকলেও কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হচ্ছে। শুধু জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা নয়, এসএসসি পরীক্ষার সময়ও কেন্দ্রগুলোকে সম্মানী দিতে হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, গত দুই বছর ধরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ‘সম্মানী’র নামে এভাবে টাকা তুলছেন। আগে এ ধরনের কোনো নিয়ম ছিল না। কিন্তু বর্তমান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যোগদানের পর থেকে সম্মানী দিতে হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সম্মানীর টাকা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দিয়ে আসতে হয়।
জানা যায়, ২ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর শেষ হয়। এ পরীক্ষায় বরিশাল জেলায় কেন্দ্র ছিল ৬৩টি। এর মধ্যে স্কুল কেন্দ্র ৪৫টি এবং মাদ্রাসা কেন্দ্র ১৮টি। প্রতিটি কেন্দ্রকে সম্মানী হিসেবে নির্ধারিত অংকের টাকা দিতে হয়েছে।
এসএম মমতাজ মজিদুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা জেলা শিক্ষা অফিসারকে দুই হাজার টাকা সম্মানী দিয়েছি। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) তিন হাজার টাকা, ম্যাজিস্ট্রেটকে তিন হাজার টাকা এবং ট্যাগ অফিসারকে ২৫শ’ টাকা দিয়েছি। পরীক্ষা কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ট্যাগ অফিসার হলেন সদস্য। তবে পরিপত্রে তাদের সম্মানী দিতে হবে এমন কোনো কথা উল্লেখ নেই। তারপরও পরোক্ষভাবে অনেক কিছু করতে হয়। আমার স্কুলে দু’দিন একজন ম্যাজিস্ট্রেট আসছিলেন। তাকে সম্মানীর টাকা পাঠাতে একটু দেরি হওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে নালিশও করেছিলেন।’
বরিশাল নগরীর শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা খুব সামান্য টাকা পেয়ে থাকি। এ টাকা দিয়েই সব কিছু ম্যানেজ করতে হয়। এর মধ্যে জেলা প্রশাসককে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দিতে হয়। এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট, ট্যাগ অফিসার ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে সম্মানী দিতে হয়। অবশ্য কেন্দ্র ফি হিসেবে পরীক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা দিয়ে থাকে। মূলত সেই টাকার দাবিদার পরীক্ষার সময় যারা কক্ষে দায়িত্বে থাকেন তাদের। কিন্তু সব মিলিয়ে এসব কিছু করতে হয়।’
এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখরুজ্জামান জানান, লিখিতভাবে নয়, প্রস্তুতি কমিটির সভায় এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্র সচিবই সম্মানী পৌঁছে দেন সবার কাছে। বরিশাল নগরীর জগদীশ স্বারসত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। এর আগে এ ধরনের নিয়ম চালু ছিল না। আগে দেইনি কেননা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সম্মানী বাবদ কোনো বরাদ্দ ছিল না। এ বছর আমরা তাকে ১৫শ’ টাকা দিয়েছি।’
বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দুই হাজার টাকা করে এ বছরই প্রথম সম্মানী দিলাম। সব কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই টাকার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে।’
একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার সময় দাঁড়িয়ে ৩ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করি। এজন্য আমাদের সর্বোচ্চ সম্মানী দেয়া হয় মাত্র ১২০ টাকা। আর জেলা শিক্ষা অফিসারসহ অনেক কর্মকর্তা যারা কোনো দায়িত্ব পালন করেন না, তারা কয়েক হাজার টাকা সম্মানী নেন। আগে কর্মকর্তাদের সম্মানী দিলেও তারা ফিরিয়ে দিতেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে অনেক কর্মকর্তা চেয়ে সম্মানী নিচ্ছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস বলেন, ‘এ ধরনের সম্মানী দেয়ার জন্য কোনো ফান্ড নেই। তারপরও অনেক কেন্দ্র থেকে ইউএনও এমনকি ডিসিদেরও সম্মানী দেয়া হয় বলে শুনেছি। আবার অনেকে আছেন সম্মানী নেন না। এটা হচ্ছে যার যার মানসিকতার বিষয়।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘কর্মকর্তাদের সম্মানী দেয়ার বিধান কোথাও নেই।’
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি বাজেট আছে। সেখান থেকেই পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মানী দিতে হয়। যদিও লিখিতভাবে এরকম কিছু নেই যে, সম্মানী দিতে হবে।’ “