বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টিএম শাহ আলমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাথরঘাটার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি আঃ রাজ্জাক গতকাল দিকে পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরও পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়াও ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আদায়, অনিয়ম-দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণসহ শিক্ষকদের আক্রোশমূলক বদলির অভিযোগ রয়েছে।
আঃ রাজ্জাক গতকাল পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি স্কুলে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন করতে গেলে শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলম আমি যাতে সভাপতি নির্বাচিত না হতে পারি সে ব্যাপারে ওই নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা নিয়োগসহ নির্বাচনে তার (শিক্ষা কর্মকর্তা টিএম শাহ আলম) পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ই করতে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন হস্তক্ষেপ করেন।
পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলম সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এইউইও) পদ থেকে পদন্নতি পেয়ে গত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই অক্টেবর পাথরঘাটা উপজেলায় যোগদান করেন। এর পরই তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি যোগদানের পর থেকেই উপজেলার ছোনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গায়েত্রী রানীকে অনৈতিকভাবে তার কার্যালয়ে বসান এবং ওই শিক্ষককে দিয়ে কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলম বলেন, আমার অফিসে কম্পিউটার অপারেটর না থাকায় শিক্ষক গায়েত্রী রানীকে দিয়ে কাজ করানো হয়। আমার অফিস সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। এখানে কোনো প্রকার টাকা-পয়সা লেনদেন হয় না। তবে গায়েত্রী ম্যাডাম কাউকে কোনো আবেদন লিখে দিয়ে হয়তো অল্পকিছু টাকা পয়সা নিয়ে থাকে।