দৈনি কশিক্ষাডটকম, নওগাঁ : নওগাঁর সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) ওয়াহেদুল্লাহ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ এনে ‘মিথ্যা’ মামলা করে গ্রেফতার হওয়ায় শিক্ষিকা আফরোজা রুমাকে (৪৪) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার জেরে আরেক সহকারী শিক্ষক মো. মোরশেদ আলমকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, সহকারী শিক্ষক মো. মোরশেদ আলম ওই শিক্ষিকাকে মামলাটি করতে সহযোগিতা করেছিলেন।
গতকাল রোববার ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। বরখাস্তকৃত দুই শিক্ষকই নওগাঁ সদর উপজেলার সুলতানপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, নওগাঁ সদর উপজেলার সুলতানপুর (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফরোজা রুমা নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে অবস্থান করায় তাঁকে ১৪ ফেব্রুয়ারি (জেল হাজতে অবস্থানের দিন) থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
বরখাস্তের অপর আদেশে বলা হয়, নওগাঁ সদর উপজেলার সুলতানপুর (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ এর অনুচ্ছেদ (খ) এর অধীনে কার্যক্রম গ্রহণ করায় ওই বিধির ১২ ধারা মোতাবেক আদেশ জারির তারিখ থেকে তাকে সরকারি চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বরখাস্তকৃত শিক্ষিকা আফরোজা রুমার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে বরখাস্তকৃত শিক্ষক মো. মোরশেদ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বরখাস্তের চিঠি আমি দেখেছি। কিন্তু কি কারণে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছি না। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা এবং শিক্ষিকা আফরোজা রুমাকে মিথ্যা মামলায় সহযোগিতা করার কথা অস্বীকার করেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই দুই শিক্ষক চাকরিবিধি বহির্ভূত কার্যকলাপ করেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে ওপর শিক্ষককে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তার সম্মানহানী করেছেন। এছাড়াও শিক্ষক আফরোজা রুমা জেলহাজতে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারী মামলা চলমান রয়েছে। এসব কারণে বিধিমোতাবেক তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।