আন্তঃক্যাডার বৈষম্য ও পদোন্নতি-পদ সৃজনের জটিলতা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আজ সোমবার কর্মবিরতি পালন করবেন। আজকের কর্মবিরতির পর দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনও কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি কলেজ ও শিক্ষার দপ্তরে কর্মরত শিক্ষকরা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে ওই দিন ঝালকাঠি, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নরসিংদী, শরিয়তপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বিভিন্ন জেলা শাখার নেতারা সংবাদ সম্মেলনে পৃথক পৃথকভাবে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, শিক্ষাক্যাডার কর্মকর্তারা বিভিন্ন সরকারি কলেজের কর্মরত। তাদের এন্ট্রিপদ প্রভাষক এবং পেশায় মূলত শিক্ষক হলেও তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষার বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়সহ শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরে প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন। ফলে তাদের কর্মবিরতিতে শিক্ষা প্রশাসনে স্থবিরতা সৃষ্টির শঙ্কা আছে।
শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো- প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সব যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদসৃষ্টি, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা ও শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ইত্যাদি।
এসব দাবিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শিক্ষা ভবনে সামিয়ানা টাঙিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডাররা।
সেনা শাসক জিয়াউর রহমান সরকারি কলেজ শিক্ষকদেরও ক্যাডারভুক্ত করেন। আগে তারা শিক্ষা সার্ভিসের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। যেমন রয়েছে, জুডিসিয়াল সার্ভিস।