ঢাকা কলেজের আবাসিক হলের সিট ইস্যুতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপককে আটকে রেখে হেনস্তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা কলেজ শাখার সহসভাপতি সিরাজ উদ্দিন বাবু ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জেমিনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে তাদের সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্যও নির্দেশনা প্রদান কর হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
আরো পড়ুন: কর্মীদের সিট না দেয়ায় প্রভোস্টকে হেনস্তা ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের
উল্লেখ্য, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে আবাসিক হলের পূর্ব নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী সিট না পাওয়ায় সাউথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদকে আটকে রেখে হেনস্তার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সমালোচনার মুখে পড়ে সংগঠনটি।
এ ঘটনায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা ভিডিয়োতে দেখা যায়, একদল তরুণ বারবার শিক্ষকের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। হাত ধরে টানাটানি করছে। উত্তেজিত কণ্ঠে শিক্ষককে মারতে যাচ্ছে কয়েকজন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষককে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে দেখা যায়।
তাদের মধ্যে ছাত্রদলের পদধারী কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। এদের মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মো. সাজ্জাদ হোসেন জেমিন। বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল নেতা জেমিনের নেতৃত্বে সাউথ হলের প্রভোস্ট আনোয়ার মাহমুদকে অফিস রুম থেকে অডিটোরিয়ামে ডেকে আনা হয়। তার পছন্দ অনুযায়ী সিট না দেওয়ায় সেখানে আনোয়ার স্যারের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে মারমুখী আচরণ করেন। তবে তাকে বারবার শান্ত করার চেষ্টা করেন উপস্থিত ছাত্রদলেরই কিছু নেতাকর্মী।
সম্প্রতি হলের সিট বরাদ্দে সুষ্ঠুভাবে নীতিমালা প্রতিপালন, মেধা ও আর্থিক অসচ্ছলতাকে প্রাধান্য দিয়ে স্ব স্ব বিভাগের ভিত্তিতে মৌখিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে কলেজের আবাসিক হলে বৈধ শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দের প্রক্রিয়া চালু করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে হেনস্তার ঘটনাটি ঘটেছে।