শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সেই প্রধান প্রকৌশলী রায়হান বাদশাকে ওএসডি করা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে। প্রধান প্রকৌশলীর (রুটিন দায়িত্ব) মো. রায়হান বাদশাসহ তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ওএসডি করা হয়েছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাব সরবরাহ করে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাও সরবরাহ করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রধান প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আফরোজা বেগম, সমীর কুমার রজক দাসকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
আর সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে ঢাকা সার্কেলে এবং রাজশাহী সার্কেলের আলতাফ হোসেনকে প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান, রংপুরের আবুল কালাম মো. আখতারুজ্জামান, কুমিল্লার আলী ইমাম, প্রধান কার্যালয়ের মীর মুয়াজ্জেম হুসেন।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য বলছে, মো. মাহবুবর রহমানকে প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে, আবুল কালাম মো. আখতারুজ্জামানকে সিলেট সার্কেলে, আলী ইমামকে চট্টগ্রাম সার্কেলে এবং মীর মুয়াজ্জেম হুসেনকে রাজশাহী সার্কেলে পদায়ন করা হয়েছে।
জানা যায়, পদায়ন-পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থবিরতা বিরাজ করছিলো। গত ১৮ আগস্ট ইইডির প্রধান প্রকৌশলী পদে রুটিন দায়িত্ব দিতে তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা, আফরোজা বেগম ও সমীর কুমার রজক দাসের নাম প্রধান কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২৫ আগস্ট প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব পান ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রায়হান বাদশা। মূলত এর পর থেকে ইইডির প্রধান কার্যালয় থেকে সারা দেশের কার্যালয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
রায়হান বাদশা প্রায় ১০ বছর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহে থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।