শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকায় সরকারিকরণ চান শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকায় সরকারিকরণ চান শিক্ষকরা

রুম্মান তূর্য |

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন কিছুটা বাড়িয়ে সঞ্চয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষগারে জমা নিয়ে সে টাকা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারি করা বা রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সম্ভব। তাদের দাবি, সরকারিকরণ হলে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে, আর কৃতিত্ব পাবে সরকার। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে সরকারি ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। এ দাবিতে সর্বস্তরের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ শুক্রবার রাজপথে নামছেন। সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানাবেন। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালবে বলে দাবি করছেন শিক্ষক নেতারা।

জানা যায়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট নামের একটি মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। শিক্ষক নেতারা দল-মত নির্বিশেষে সরকারিকরণ প্রত্যাশী সব শিক্ষককে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নেতারা প্রতিটি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজন শিক্ষক ও দু’জন কর্মচারীকে অবস্থান কর্মসূচিতে পাঠাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আহ্বান জানিয়েছেন। মহাজোটের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দিন ও সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মহাজোটের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দিন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা আছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আয়সহ অন্যান্য সম্পদ সরকার গ্রহণ করলে সরকারিকরণ করা সম্ভব।

সংগঠনের সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, সরকার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে নতুন নীতিমালা করছে। এ নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে অব্যবস্থাপনা ও অপচয় দূর হবে ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়বে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় জমা নিয়ে এবং নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার চাইলেই সরকারিকরণ করা সম্ভব।

মহাজোটের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে এবং সরকারি বরাদ্দের টাকার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারিকরণ সম্ভব। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেতন কিছুটা বাড়ানো লাগতে পারে। গ্রামের স্কুলে ৫০ টাকা ও শহরের স্কুলে ১০০ টাকা বেতন নেয়া হলেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করা যাবে।

শিক্ষক নেতারা বলছেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত শিক্ষা সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দিন অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির পর সরকার তিনজন সচিব পাঠিয়ে শিক্ষকদের অনশন ভাঙায়। আমাদের বিশ্বাস ছিলো মুজিববর্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণের মাধ্যমে বৈষম্যের অবসান হবে। বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বারবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকারিকরণের দাবি পূরণ না হওয়ায় এখন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের মতো লাগাতার কর্মসূচির বিকল্প নেই।

নেতারা আরও দাবি করেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে সরকারিকরণ করলে বেশি লাভবান হবে সরকার ও শিক্ষার্থী। বৈষম্যহীনভাবে শিক্ষার্থীরা একই মানের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বল্প খরচে পড়ালেখা করবে এই কৃতিত্বের অধিকারী হবে বর্তমান সরকার। সরকার উপজেলা পর্যায়ে একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণ করায় শহর ও নগরে স্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে পড়ালেখা করছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সন্তানরা বেশি খরচে পড়ালেখা করছে। প্রধানমন্ত্রী গত নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, গ্রাম হবে শহর। গ্রামকে শহরে পরিণত করতে গেলে প্রথমেই গ্রামের মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে, যার একমাত্র উপায় হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ করা। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছে। স্মার্ট দেশ গড়তে এদেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে আলোকিত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এবং মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে হবে। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033638477325439