শিক্ষা ভবনের সংযুক্ত ক্যাডারদের অসংযুক্ত কর্মকাণ্ড! - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা ভবনের সংযুক্ত ক্যাডারদের অসংযুক্ত কর্মকাণ্ড!

এনামুল হক প্রিন্স, আমাদের বার্তা |

তারা সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক। সরকারি চাকরিতে যাদের যোগদান প্রভাষক হিসেবে। ছিলেন বিভিন্ন কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকারী শিক্ষক। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ, প্রশাসন, আইন  ও এসিআর শাখার বিশেষ কিছু করণিক কাজ করানোর জন্য তাদেরকে শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিলো।

তাদের সংখ্যা ২৫ জনের মতো। কিন্তু তারা তাদের সংযুক্ত শাখার কাজ করেন না, এমনকি নিজ নিজ কর্মস্থলেও থাকেন না। তাদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মহাপরিচালক স্বয়ং।

জানা গেছে, অধিদপ্তরের ইতিবাচক কাজেও তারা বিঘ্ন ঘটান। এমনসব অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে গত ৪ জুন অধিদপ্তরের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে। ওইদিনে সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। এদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই সভায়।  

এদিকে দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত সংযুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কলেজ ও প্রশাসন শাখা থেকে গত ৫ জুন বিতাড়িত পরিচালকের প্রশ্রয়ে এমনসব অসদাচরণ করে বেড়াতেন। তিনি বিতাড়িত হওয়ার পরও বাইরে থেকেই কলকাঠি নাড়ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘মাউশি অধিদপ্তরের সভায় সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ডিজিটাল হাজিরার উপস্থিতি দেখতে চাইলে সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট (ইএমআইএস সেল) জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ বিষয়ের উপস্থিতি আপাতত প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।’

অসন্তুষ্ট সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, ‘মাউশি অধিদপ্তরের ইতিবাচক কাজে কেউ বিঘ্ন ঘটালে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই ২৫ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা বিতাড়িত পরিচালকের সিন্ডিকেটের অংশ। পদ সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন না করে বিতাড়িত পরিচালকের এজেন্ডা বাস্তবায়নই তাদের মূল কাজ। ওই পরিচালক বিতাড়িত হওয়ার পর অন্যদের অসফল প্রমাণ করতে তারা চরম অসহযোগিতা করে  যাচ্ছেন। এমনকি সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্টও ওই বিতাড়িত পরিচালকের ধামাধরা চাকুরে। পালের গোদার পরামর্শেই তিনি সিন্ডিকেট সতীর্থদের ডিজিটাল হাজিরা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। গোটা শিক্ষা ভবনেই তাদের কলকাঠি নড়ে। তাদের মধ্যে কয়েকজন জামায়াত-শিবির ঘনিষ্ঠ ক্যাডারও রয়েছেন। যারা শিক্ষাভবনকে অচল করে সরকারকে বিপদে ফেলতে সচেষ্ট। মাউশি অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা চান, সবাইকে কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। যার যার অপরাধ অনুসারে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন কর্তৃপক্ষের ভুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া হলো না ১৬ শিক্ষার্থীর - dainik shiksha কর্তৃপক্ষের ভুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া হলো না ১৬ শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষার দিন বৃষ্টি হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ - dainik shiksha এইচএসসি পরীক্ষার দিন বৃষ্টি হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ - dainik shiksha পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত’ - dainik shiksha ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত’ ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ হলে দায়ভার নেবে না শিক্ষকরা - dainik shiksha ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ হলে দায়ভার নেবে না শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয় - dainik shiksha এমপিওভুক্তির জন্য টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয় কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.018472909927368