শিক্ষা ভবনে সেসিপের কর্মসূচি: ‘ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে আন্দোলন প্রত্যাহার করব’ - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষা ভবনে সেসিপের কর্মসূচি: ‘ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে আন্দোলন প্রত্যাহার করব’

ঢাবি প্রতিনিধি |

ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে যে যার মতো করে পুনরায় কাজে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীমা ফেরদৌসি।

সোমবার পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ কথা বলেন।

শামীমা ফেরদৌসি বলেন, গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কোনো কর্তৃপক্ষই কথা বলেননি। আমরা প্রত্যাশা করছি তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা এই রাষ্ট্রে শিক্ষা নিয়ে কাজ করি, আমরা এর অংশীদার। আমাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মহাপরিচালক, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা আমরা যে দাবির কথা জানিয়ে আসছি ‘রাজস্ব খাতে স্থানান্তর’ এটি পূরণে যে পথ বের করতে হয়; তারা সেটিই করছেন বলে আমরা মনে করি।

তিনি আরো বলেন, আগামীকাল যেহেতু পূজোর ছুটি রয়েছে, আগামীকালের পরে আমরা কর্মসূচির ব্যাপারে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবো। আজকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের একটি সিডিউল রয়েছে, সেখানে দাবি পূরণের ইতিবাচক বার্তা না এলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে এবং যে যার মতো করে পুনরায় কাজে যোগদান করবো। 

এর আগে গত রোববার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কর্মরত জনবলসহ সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে ‘সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারি কল্যাণ পরিষদ’ ব্যানারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেসিপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

সেসিপ কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার ও এডিবি যৌথ অর্থায়নে ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সেসিপ প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়। সেসিপের ফলোআপ হিসেবে ২০০৭ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জুন মেয়াদে এসইএসডিপি হাতে নেয়া হয় এবং এর ফলোআপ প্রজেক্ট হিসেবে সব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে সেকোন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) চালু করা হয়, যা চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে।

তারা আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেসিপের ১ হাজার ৪৩৯টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জুন অনুমোদন দিয়েছেন। সে অনুশাসন বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মোট ১ হাজার ১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে সম্মতি জ্ঞাপন করে। অর্থ বিভাগ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারি ওই ১ হাজার ১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সম্মতি না দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রামের ৮০১টি পদ সৃজনের সম্মতি দেয়। সে বছরের ২০ জুন ১ হাজার ১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পুনরায় অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সে বছরের ২৮ জুন অর্থ বিভাগ ফের অসম্মতি জানায়।

 

 

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস চলবে ৯টা-৩টা - dainik shiksha রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিস চলবে ৯টা-৩টা দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড - dainik shiksha এইচএসসির উত্তরপত্র জমা নিচ্ছে না বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল তিন সমন্বয়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে ডেকে নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - dainik shiksha তিন সমন্বয়ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে ডেকে নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033140182495117