জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবি সহ ৩ দফা এবং ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার শিক্ষার্থীরা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে একটি গণপদযাত্রা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। গণপদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা- 'আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান' মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস' 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম' অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, 'আমরা আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রনালয়কে তিন দিনের একটি আল্টিমেটাম দিবো। এবং হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।'
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি অংশ নেয় শাখা ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সুযোগ সুবিধা পাওয়া দরকার তা জবিয়ানরা পায় না৷ আমরা এই বৈষম্য মেনে নিবো না। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কাজই হয়নি। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
ইউজিসির পাইলট প্রজেক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, পাইলট প্রজেক্টের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে শুরু হলে অবশ্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই শুরু করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি হলো- ১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টর কে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে। ২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা সহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে। ৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। ৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।