জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আগামীকাল সোমবার (৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে সোমবার ও মঙ্গলবার জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীদর নির্ধারিত দিনে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সব প্রতিযোগীদের নির্ধারিত দিনে সকাল সাড়ে ৮ টায় নির্ধারিত ভেন্যুতে উপস্থিত থাকতে হবে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়ে চিঠি আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (৫ জুন) সকাল দশটায় ঢাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে সবগ্রুপের দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, হামদ-নাত, উচ্চাঙ্গ নৃত্য ও তাৎক্ষণিক অভিনয় ইভেন্টের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন সকাল দশটায় গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি সব গ্রুপের কেরাত, বাংলা রচনা (অনির্ধারিত), বিতর্ক, বাংলা কবিতা আবৃত্তি, নির্ধারিত বক্তৃতা, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ইভেন্টে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল দশটায় ঢাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে সবগ্রুপের উচ্চাঙ্গ সংগীত, লোক সংগীত, জারি গান, লোকনৃত্য, ক ও খ গ্রুপের (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম ও দশম) ইংরেজি রচনা এবং গ ও ঘ (১১শ-১২শ, ১৩শ-১৭শ) গ্রুপের ইংরেজি বক্তব্য ইভেন্টের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল দশটায় গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ স্কাউট, শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ গার্লস্ গাইডস্, শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইডস্ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইডস্ গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ রোভার, শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ইভেন্টের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ রেঞ্জার গ্রুপ, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি গ্রুপের দলনেতা এবং শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হবেন। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান, শ্রেণি শিক্ষক, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসাররা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ নিয়ে উপস্থিত হবেন।
বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগীদের আবৃত্তি জন্য নির্বাচিত কবিতাগুলোও জানিয়েছে অধিদপ্তর। ক গ্রুপের (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি) কবিতা: মানুষ, কবি: কাজী নজরুল ইসলাম; খ-গ্রুপে (৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি) কবিতা: আমার পরিচয়, কবি: সৈয়দ শামসুল হক; গ-গ্রুপে (একাদশ থেকে দ্বাদশ) কবিতা: স্বাধীনতা এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো, কবি: নির্মলেন্দু গুণ : ঘ গ্রুপে (উচ্চশিক্ষা) কবিতা: নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ, কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রতি প্রতিযোগীকে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত সনদপত্রের মূল কপিসহ সব মূল ডকুমেন্ট, এনআইডির কপি বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন এবং ২ কপি পাসপোর্ট ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সঙ্গে করে আনতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, জারী গানে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দলনেতাসহ সর্বোচ্চ হয় পাঁচ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন। উচ্চাঙ্গ সংগীত সংশ্লিষ্ট বাদ্যযন্ত্র প্রতিযোগীকে সঙ্গে করে আনতে হবে। নৃত্যের প্রতিযোগীদের নিজ নিজ নৃত্যের পোশাক পরিধান করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সব প্রতিযোগীদের নির্ধারিত দিনে সকাল সাড়ে ৮ টায় নির্ধারিত ভেন্যুতে উপস্থিত থাকতে হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।