লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মেঘনা নদীর একটি চরে শিক্ষা সফরে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে মো. তামিম হোসেন (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার শহর আলী মোড় এলাকার কাটাখালী নদী থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রায়পুরের আলতাফ মাস্টার ঘাটের অদূরে মেঘনা নদীর মধ্যখানে আজগর সর্দারের চর থেকে নিখোঁজ হয় তামিম।
তামিম লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চর ইন্দুরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির রতন সর্দারের ছেলে। সে ওই এলাকার মেঘনাবাজার হাজী আবদুল আউয়াল কওমী মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
হাইমচর কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি দল নদীতে নিখোঁজ তামিমের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর ঘটনায় কোনো অভিযোগ ছিল না।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রায়পুরের উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর আজগর সর্দারের চরে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিক্ষা সফরে যায় হাজী আবদুল আউয়াল কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বিকেলে ওই চরে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে। এ ফাঁকে শিশু তামিম নদীতে নিখোঁজ হয়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে আসে। পরে তামিমের বাবা রতন সর্দার স্থানীয় পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে ঘটনাটি জানায়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়েও ওইদিন তাকে খুঁজে পায়নি।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁদপুরের হাইমচরের শহর আলী মোড়ে কাটাখালী নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের সদস্যরা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত তামিমের বাবা রতন সর্দার বলেন, আমাদের খামখেয়ালিপনার কারণের তামিমের মৃত্যু হয়েছে। তাকে যেতে দেওয়া উচিত হয়নি। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। কারো বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কোস্টগার্ড মরদেহটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।