ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা অবশেষে দ্রুততম যোগাযোগের আওতায় আনতে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য চিলমারী ঘাটের প্রস্তুতি শেষের দিকে। কয়েকদিনের মধ্যে রৌমারী ঘাটের কাজ শেষে ফেরি সংযুক্ত করা হবে।
বিআইডব্লিইটিএর চিলমারী নদীবন্দরের পাইলট মাহবুবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এতে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হচ্ছে এই দুটি উপজেলার মানুষের।
বিআইডব্লিইটিএর তথ্য মতে, চিলমারী-রৌমারী নৌরুটের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে ডেজিংয়ের মাধ্যমে এই রুটের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
রাজীবপুরের বাসিন্দা আয়নাল হক ও আজাদ মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান,ফেরি সার্ভিস চালু না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ নৌকা যোগে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সদরে এসে প্রশাসনিক, ব্যক্তিগত ও আদালত সংক্রান্ত কাজ করতে যেতে হয়। বন্যা ও ঝড়ে প্রবল ঝুঁকি এবং গ্রীষ্মকালে নাব্যতা সংকটে যাতায়াত ঝুঁকিপুর্ণ ও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া প্রচুর সময়ও ব্যয় হয়। বেশিরভাগ সময় কাজ শেষ করতে নৌকার অভাবে রাত্রিযাপন করতে হয় কুড়িগ্রাম শহরে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (সিরাজগঞ্জ) মো. মাহফুজার রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চিলমারী নদী বন্দরের ঘাটের প্রস্তুতি শেষ, রৌমারী ঘাটের কাজ চলছে। ঘাটটির কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে। এরপর আরিচা ঘাট থেকে একটি ফেরি সংযুক্ত করে সেপ্টেম্বরের মাঝা মাঝি সময়ে ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।