দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাজশাহী: উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘনকুয়াশা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ফারাকও কম। এতেই নামছে কনকনে শীত। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথুবু জনজীবন। চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পুরো রাজশাহী। শীতজনিত নানা জটিলতায় রোগীদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
রোববার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন ছিল। গত শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব কাছাকাছি হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ উপজেলা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছিলো ৬২ জন। আর শনিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৭২ জন। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বাড়তি ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, উপজেলা পর্যায়ে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে ভর্তি রোগীর চেয়ে আউটডোর রোগীর সংখ্যা বেশি। আর পরিস্থিতি খুব খারাপ, এমনটা না। এ সময়টায় রোগী কিছুটা বাড়ে। সে রকমভাবে ব্যবস্থাপনাও করা আছে।